দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা নেয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। অনেকটা বিসিএসের আদলে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যদের বেছে নেওয়া হয়। এরপর তাদের শূন্যপদে নিয়োগে সুপারিশ করা হয়।
তবে এ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসময় লেগে যায়। অনেকে নিবন্ধন সনদ অর্জনের পরও বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় নিয়োগবঞ্চিত হন। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষক সংকটে পড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে এনটিআরসিএ। সেক্ষেত্রে একটি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সংস্থাটি।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রিলির পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ দুটির মধ্যে একটি পরীক্ষা বাদ দিলে সময় কমে আসবে। সেক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের প্রস্তাবে সায় দিলে আগামী শিক্ষক নিবন্ধন থেকে এ নিয়ম চালু করা হবে।
এনটিআরসিএ সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন হয় তিন ধাপে। আমরা একটি ধাপ কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিগত অনুমোদনও পাওয়া গেছে। জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত পাওয়ার পর এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রিলি নাকি লিখিত—কোন পরীক্ষা বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর সচিব বলেন, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে প্রিলিমিনারি অংশ বাদ দেওয়া হতে পারে।
জানা যায়, গত ২৫ মে এনটিআরসিএর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আমার বার্তা/এমই