
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার প্রতি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩৩ জন শিক্ষার্থী। প্রশ্ন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে। আর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পোষ্য কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
উচ্চ মাধ্যমিক শেষে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাবি ক্যাম্পাসে নামে শিক্ষার্থীর ঢল। বেলা ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা চলে পরীক্ষা।
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা এবং রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষা। মোট এক হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৩৪ হাজার ৬২ জন ভর্তিচ্ছু। প্রতি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৩ জন ভর্তিচ্ছু।
পরীক্ষা শেষে বের হয়ে প্রশ্ন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান ভর্তিচ্ছুরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, লিখিত ও এমসিকিউ দুটোরই কঠিন প্রশ্ন এসেছে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি কখনো ভাবিনি পরীক্ষা এতোটা সহজ হবে। ইংরেজি ও বাংলা ঠিক ছিল।
এদিকে, পরীক্ষা চলাকালে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপাচার্য ও প্রক্টর। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পোষ্য কোটা নিয়ে আদালত যে নির্দেশনা দেবে তার আলোকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সবাই মেধার পক্ষে। এই পোষ্য কোটার বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আদালতের যেকোনো নির্দেশনা শিরধার্য।
১৩ ডিসেম্বর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা এবং বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই

