বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। কাজের সূত্রে কখনও পাশের দেশ ভারতেও আনাগোনা তার। ওপার বাংলায় তো বটেই, বি-টাউনের সঙ্গেও রয়েছে তার যোগাযোগ।
এইতো, গত রোববার মুম্বাইয়ে বসে ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসর। আরব সাগরের তীরে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে রীতিমত বসে তারার হাঁট। উপস্থিত ছিল বলিউড-টালিউডের নামজাদা সব তারকারা। সেখানে ডাক পান বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসানও। ‘ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’-এ বিশেষ পুরস্কারও পান অভিনেত্রী।
মুম্বাইয়ের সেই মঞ্চে এদিন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানি পরে হাজির হন জয়া। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু বিপত্তিটা বাধে, গত মঙ্গলবার রাতে জয়ার ছবিগুলো যখন সামাজিক মাধ্যমে ছেয়ে যায়। আপত্তির বিষয় ছিল, জামদানিকে শাড়ির মতো না পরে খানিকটা ভিন্নভাবে পরেছিলেন জয়া। আর তা কেন্দ্র করেই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীকে নিয়ে শুরু হতে থাকে সমালোচনা, বিতর্ক!
বিষয়টি নিয়ে আর চুপ থাকতে পারলেন না জয়া আহসান। সদ্যই গণমাধ্যমকে তিনি জানালেন, জামদানি পড়ার মধ্যে কোনো তাত্ত্বিক নিয়ম নেই। অভিনেত্রীর কথায়, ‘কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারব না?’
জয়া এও বলেন, ‘জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়। আমরা যত ফিউশন করবো তত বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারব। এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি। পুরোনে যেসব মেয়েরা যুদ্ধ করত, তাদের যে লুক সেই লুকেই আমি সেজেছিলাম এবং সেটা ইচ্ছে করেই। এমনকি পরিচালক সুজয় ঘোষও আমার লুকের প্রশংসা করেছিলেন।’
এবারের ফিল্মফেয়ার উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কারিনা কাপুর, অভিষেক বচ্চন, বিজয় ভার্মা, মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহাসহ অনেকে। সেই তালিকায় ছিলেন জয়া আহসানও। এদিন সঞ্চালক জয়াকে মঞ্চে ডেকে নেন, সম্বোধন করেন ‘ফাইন অ্যাকট্রেস অব বেঙ্গল’ বলে।
আমার বার্তা/এমই