
বিটিএস, ব্ল্যাকপিঙ্কের জনপ্রিয় তারকাদের পেছনে ফেলে বর্তমানে কে-পপ জগতের আলোচিত নাম লি ইউন-জায়ে। দীর্ঘ ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও ইউটিউবের টপ চার্টে শীর্ষে রয়েছে তার ‘গোল্ডেন’ গানটি।
‘কে পপ ডেমন হান্টার্স’ এর টাইটেল সং ‘গোল্ডেন’ গানটি কে পপ ডেমনস এর লেবেলে প্রকাশ করে সনি পিকচার্স এনিমেশন। এর মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয়েছে আমেরিকান অ্যানিমেটেড সিনেমা মিউজিক্যাল আরবান ফ্যান্টাসি ঘরানায়।
গানটি নেটদুনিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার পরই রাতারাতি তারকা বনে যান লি ইউন-জায়ে। তবে সবাই গায়িকাকে ইজেই নামে চেনেন। জনপ্রিয় গানটি লেখার পাশাপাশি কন্ঠ দিয়েছেন ইজেই।
দর্শকপ্রিয়তায় মাত্র ৪ মাসে গানটির ভিউ সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫২ মিলিয়নেরও বেশি। তবে এ সাফল্য ও জনপ্রিয়তা হঠাৎ পাননি গায়িকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে কষ্টের কথাই জানান নিজেই।
ইজেই বলেন, তারকা হওয়ার স্বপ্ন শুরু হয়েছিল কে-পপ ইন্ডাস্ট্রিজের এসএম এন্টারটেইনমেন্টের মতো নামজাদা প্রশিক্ষণ কক্ষে। যেখান থেকে বিটিএস, ব্ল্যাকপিঙ্কের মতো তারকারা সফল হয়েছেন। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন।
ইজেই আরও বলেন, এসএম এন্টারটেইনমেন্টে দীর্ঘ সাত বছর গান-নাচের তালিম নিয়েছি। কিন্তু অভিষেকের শুরুর দিকে বারবার আমার গান অপ্রকাশিত হতে থাকে। অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগাতে না পেরে গভীর একাকীত্ব হতাশ হয়ে পড়ি। একসময় ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার কঠিন সিদ্ধান্তও নিই।
এরপরই গায়িকা বলেন, কঠিন ওই সময়ে কে-পপ ডেমন হান্টার্স আমার পাশে দাঁড়ায়। আমাকে সুযোগ দেয়। কাজের ক্ষেত্রে সৃজনশীল স্বাধীনতা দেয়। যার ফল বিশ্বসেরা 'গোল্ডেন'।
ক্ষোভ প্রকাশ করে কোরিয়ার এ তারকা বলেন, প্রকৃত প্রতিভা থাকলে বড় লেবেলের বাইরেও শিল্পীরা গ্লোবাল স্টার হতে পারে। আমি সেটাই করে দেখিয়েছি। 'গোল্ডেন' গান তারই প্রমাণ।
নেটিজেনদের হৃদয় ছুঁয়েছে গায়িকার অভিজ্ঞতা। মন্তব্যের ঘরে ভক্তরা জানান, এসএম এন্টারটেইনমেন্টের অবহেলাতেই নিজের কাছে বেশি মনোযোগী হন ইজেই। গানের জগতে সফল হয়ে নেন মধুর প্রতিশোধ।
আমার বার্তা/এল/এমই

