কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১৭ হাজার ২৮০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে নির্মিত হয়েছে এক্সিলারেট হোপ হাসপাতাল। নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষকে আধুনিক ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিতে এক্সিলারেট এনার্জির উদ্যোগে এবং হোপ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ৩০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হোপ ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মহেশখালীর কুতুবজমে এই হাসপাতাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
এসময় হাসপাতাল কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো শক্তিশালী করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন লুৎফে সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এক্সিলারেট এনার্জি এবং হোপ ফাউন্ডেশনের নেওয়া এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও সময়োপযোগী। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিষ্ঠিত এক্সিলারেট হোপ হাসপাতাল বাংলাদেশ ও এক্সিলারেটের দৃঢ় বন্ধুত্বের প্রতিফলন। আমি আশা করি, আগামী দিনে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
এসময় এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজার ও সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, এক্সিলারেট এনার্জি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই কাজ করছি না, বরং এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, এই হাসপাতালটির সুযোগ-সুবিধাগুলো এখানকার মানুষ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে অত্যন্ত উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়া এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।
সমাপনী বক্তব্যে হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদউজ্জামান বলেন, হোপ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. ইফতিখার মাহমুদ এবং মহেশখালীর জনগণের পক্ষ থেকে আমরা ৩০ শয্যাবিশিষ্ট এক্সিলারেট হোপ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য এক্সিলারেট এনার্জির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। হোপ ফাউন্ডেশন এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত। ২০০৭ সাল থেকে হোপ ফাউন্ডেশন এ অঞ্চলে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সরকারের সঙ্গেa সমন্বয় করে এক্সিলারেট হোপ হাসপাতালের মাধ্যমে মহেশখালীবাসীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এক্সিলারেট এনার্জির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রামন ওয়াংডি, মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেদায়েত উল্লাহসহ সরকারি কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যমকর্মী।
আমার বার্তা/এমই