নদী-নালা ও পুকুরের ধারে সহজেই জন্ম নেওয়া একটি উদ্ভিদ ঢোলকলমি। নাম শুনলেই হয়তো অনেকেই হেসে উঠেন, কিন্তু এই উদ্ভিদটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ঔষধি গুণে ভরপুর এই লতা সামান্য আর্দ্রতা থাকলেই খুব দ্রুত জন্মায়। এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে থাকা এই উদ্ভিদটির পুষ্টিগুণও কম নয়।
পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণাবলি
ঢোলকলমি যেকোনো ঋতুতে শুকায় না, বরং শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা যেকোনো সময়ই তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। শরীরে ক্ষত হলে এর পাতার পেস্ট লাগালে দ্রুত সেরে যায়। শরীরের ব্যথা কমাতে গরম করে এই পাতার মোড়ক বেঁধে দিলে আরাম দেয়। ফোলা কোথাও থাকলে পাতার পেস্ট লাগালে ফোলা উপশম হয়।
দাঁতের ব্যথায় ঢোলকলমির ব্যবহার
দাঁতে পোকা বা পায়োরিয়া থাকলে ঢোলকলমির পাতা দিয়ে ব্রাশ করলে আরাম মেলে। এছাড়া বিছে কামড়ালে পাতার রস কাটা জায়গায় লাগালে রক্তপাত বন্ধ হয় এবং বিষের প্রভাব ধীরে ধীরে কমে যায়।
ঢোলকলমি যেমন ঔষধি গুণে ভরপুর, তেমনই এর বিষাক্ততার দিকটিও জানা জরুরি। তাই ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আমার বার্তা/এল/এমই