ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে একটি শাহী জামে মসজিদকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মসজিদের স্থানে আগে মন্দির ছিল- এমন দাবি তুলে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। এরপর আদালত সেখানে জরিপ চালানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে সম্প্রতি ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে চার মুসলিম তরুণকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সম্ভলে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়ঙ্কা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সম্ভলের উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। স্থানীয় গাজিপুর সীমানায় তাদের রাস্তা আটকায় পুলিশ।
এমন পরিস্থিতিতে তাদের সম্ভল যেতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মাঝে উত্তেজনাকর পরতিস্থিতি সৃষ্টি হলেও তাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।
পরে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাহুল। গাড়ির উপর উঠে সংবিধান হাতে প্রতিবাদ জানান। রাহুলের অভিযোগ, পুলিশ তার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করেছে।
রাহুল বলেন, আমরা সম্ভলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। পুলিশ আমাদের যেতে দিচ্ছে না। সংসদের বিরোধী দলনেতা হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। আমি সেখানে একাও যেতে রাজি, পুলিশ আমার সঙ্গে যাক সেখানে। তবে পুলিশ সেই কথাও শুনছে না। বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমার অধিকার এতে খর্ব হচ্ছে। আমার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু সম্ভলে গিয়ে দেখতে চাই সেখানে কী হচ্ছে। এটাই নয়া ভারত! এই ভারতে সংবিধানকে শেষ করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।
আমার বার্তা/এমই