‘ইরানের সাথে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করতে চাইলে নতুন করে হামলার চিন্তা বাদ দিন।’ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে এভাবেই বলেছেন ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানছি।
সাম্প্রতিক ইস্যুতে বিবিসির সাথে কথা বলেছেন মাজিদ রাভানছি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় ফিরতে চায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আলোচনা চলাকালে নতুন করে হামলার মতো খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র এখনও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা আলোচনা ও কূটনীতি চাই। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে এবং আবারও নতুন করে বিস্মিত হওয়া যাবে না।’
রাভানছি বলেন, ‘ইরান শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সক্ষম।’
ইরান গোপনে পরমাণু বোমা তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। রাভানছি বলেন, ‘গবেষণা কর্মসূচির জন্য ইউরেনিয়াম সামগ্রীতে প্রবেশাধিকার পায়নি বলেই ইরানকে নিজের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।’
উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোন মাত্রায় থাকবে বা কতটা সক্ষমতা থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তোমার সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থাকবে না, শূন্য মাত্রায় থাকবে এবং তুমি একমত না হলে তোমার ওপর বোমা মারবো-এগুলো জঙ্গলের আইন।’
পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরমাণু কর্মসূচির জন্য যারা ইরানের সমালোচনা করে তাদের বরং ইরানকে কীভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে তার সমালোচনা করা উচিত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমালোচনা করা উচিত।’ তাঁর ভাষায়, ‘তাদের যদি আমেরিকাকে সমালোচনার সাহস না থাকে তাহলে চুপ থাকা উচিত, আগ্রাসনের যৌক্তিকতা খোঁজা উচিত না।’
তাখত-রাভানছি বলেন, ‘কিছু ইরানি সরকারের কোনো কোনো কার্যক্রমের সমালোচনা করলেও যখন বিদেশি আগ্রাসনের বিষয় আসে তখন সবাই এক হয়ে লড়াই করে।’
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গত এপ্রিল থেকে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করে ইরান। যার মধ্যস্থতা করে ওমান। এরইমধ্যে পাঁচদফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৩ জুন ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপরই ষষ্ঠ দফা আলোচনা ভেস্তে যায়।
হামলায় ইরানের শীর্ষ একাধিক সামরিক কর্মকর্তাসহ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ওই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সরাসরি জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের কয়েকটি পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা করে।
আমার বার্তা/জেএইচ