
বর্তমানে চলমান যুদ্ধগুলোতে সবচেয়ে চড়া মূল্য দিচ্ছে শিশুরা। গত বছর বিশ্বে অন্তত ১২ হাজার শিশু হতাহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই বিস্ফোরক অস্ত্রের ফলে যার বেশিরভাগই ঘটেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০০৬ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর গত বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়েছে যা ২০২০ সালের সংখ্যার তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি।
‘চিলড্রেন অ্যান্ড ব্লাস্ট ইনজুরিস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন মতে, যুদ্ধ ক্রমবর্ধমানভাবে গ্রামীণ অঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে প্রবেশ করছে। ফলে বিস্ফোরক অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। যে কারণে শিশুদের মৃত্যু বা আহত হওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকে-এর সংঘাত ও মানবিক বিষয়ক উপদেষ্টা নারমিনা স্ট্রিশেনেটস বলেন, বিশ্ববাসীর চোখের সামনে শিশুদের শৈশব ধ্বংস হচ্ছে এবং এর প্রমাণ অনস্বীকার্য। আজকের যুদ্ধে সর্বোচ্চ মূল্য দিচ্ছে শিশুরা। শিশুরা যেখানে ঘুমায়, খেলা করে এবং শেখে সেখানে বোমা পড়ছে – যা তাদের ঘরবাড়ি এবং স্কুলের মতো সবচেয়ে নিরাপদ স্থানগুলোকে মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি ছিল অপুষ্টি, রোগ বা ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে। কিন্তু এখন শহরাঞ্চলে সংঘাত যত ঘন ঘন ঘটছে, হাসপাতাল, স্কুল ও আবাসিক এলাকায় বোমা এবং ড্রোন হামলা হচ্ছে। যার শিকার হচ্ছে শিশুরা।
২০২৪ সালে যেসব সংঘাতে শিশুদের সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো হলো গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি অঞ্চল, সুদান, মিয়ানমার, ইউক্রেন ও সিরিয়া।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিশুদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাত চলছে গাজায়। ভূমধ্যসাগরের পাড়ের এক চিলতে ভূমিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে রীতিমতো গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার শিশু নিহত হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই

