জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় দেন।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন একই আদালত। সেদিন জামিন বাতিল করে মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোরও আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে মিজানুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে রায় ঘোষণা শেষে আবারও সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। সেখানে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, আসামির দাবি শেখ পরিবারের রোষানলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এ মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাত্র এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব।
আমার বার্তা/এমই