ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
মাহফুজ আলম

মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনা বন্ধ করা উচিত

আমার বার্তা অনলাইন
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭

শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের কথা শেখ মুজিবুর রহমানের দল ও পরিবারের সদস্যদের স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া এবং এ জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, তাঁদের আরও উচিত, মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনা পরিহার করা।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। তাঁর স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু (ইংরেজি থেকে অনূদিত) তুলে ধরা হলো:

পতিত শেখরা!

শেখ মুজিব ও তাঁর কন্যা (আরেক শেখ) তাঁদের ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্য জনগণের তীব্র রাগ-ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন, যে জনপ্রিয়তা হাসিনার ছিল না। জনগণ পাকিস্তানি নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর (শেখ মুজিব) নেতৃত্ব অনুসরণ করেছিলেন, কিন্তু একাত্তরের পর তিনি নিজেই একজন জালিম হয়ে ওঠেন। মুজিববাদের প্রতি তাঁর সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় একাত্তরের পর পঙ্গু ও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নিজের ফ্যাসিবাদী ভূমিকার কারণে ১৯৭৫-এ তাঁর মৃত্যুতে মানুষ শোক-অনুতাপ প্রকাশ করেনি।

তবে, শেখ তাঁর একাত্তর-পূর্ব ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন, যদি শেখের একাত্তর-পরবর্তী গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ ও নিশ্চিতভাবেই বাহাত্তরের সংবিধান, যা বাকশাল প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছিল—এসবের জন্য তাঁর দল ও পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। শেখ-কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কথাও তাঁদের স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া এবং এ জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত (শেখ মুজিবকে একজন ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাসের পাত্র বানিয়েছিলেন তিনি)। তাঁদের আরও উচিত, মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনা পরিহার করা।

কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে শেখের ছবি সরানো হয়েছে (কর্মকর্তারা সরিয়েছেন, যদিও তা হয়েছে); যে শাসন মেয়ে করেছেন ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও তাঁর একাত্তর-পরবর্তী চেতনার কথা বলে। তাঁর বাবাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল, কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে তাঁদের দুজনের ছবি, ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলেছেন।

কেউ যদি সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর কারণে আক্ষেপ প্রকাশ করেন, তবে তিনি এ গণ-অভ্যুত্থান ও গণমানুষের চেতনারই নিন্দা জানালেন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না। আমরা এখানে এসেছি, ঐতিহাসিক অসংগতি ও অপব্যাখ্যাগুলো দূর করতে। মনে রাখতে হবে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। আবার, কোনো মুক্তিযোদ্ধাও যদি একাত্তরের পর কোনো অন্যায় করে থাকেন, তাঁর বিচার ও সাজা হওয়া উচিত।

স্বাধীনতাযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন বলেই তাঁদের (একাত্তরের পর কোনো অন্যায় করা মুক্তিযোদ্ধাদের) এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া উচিত নয়।

বাংলাদেশের উচিত, শাসক পরিবারগুলোকে দেবতুল্য করা ও সেই ক্ষমতাসীন পরিবারগুলোর সবকিছু নিজেদের বলে মনে করা—এ থেকে বেরিয়ে আসা। ’৪৭ ও ’৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা আমাদের সবার স্মৃতিতে থাকুক অম্লান!

আমার বার্তা/জেএইচ

চলতি মাসে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

চলতি নভেম্বর মাসের ৩ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ দিনে দেশের ২৫টি জেলার বিভিন্ন আদালতে

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল এই মুহূর্তে ডটকম থেকে প্রকাশিত ‘দপ্তর থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হয় দুই বছর আগেই, সম্মতি ছিল হাসিনার

২০০৭ সালে, অর্থাৎ বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার দুই বছর আগে থেকেই এর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত: ইউনূস

সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে মির্জা ফখরুল

চলতি মাসে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারসেরা র‍্যাংকিংয়ে শান্ত

মা নেই, চার শিশুর বাবা কারাগারে: যে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেওয়া অবৈধ ছিল: হাইকোর্ট

নিখোঁজের তিন দিন পর মিলল শিল্পপতির লাশের ৭ টুকরা

চাকরি ছাড়লেন শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই

হাজী সেলিমের ছেলে সোলাইমান সেলিম আটক

বিএনপি নেতা এ্যানির বিরুদ্ধে ৬ মামলা হাইকোর্টে বাতিল

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হয় দুই বছর আগেই, সম্মতি ছিল হাসিনার

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত: ইউনূস

রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই ডায়াবেটিস হলে বুঝবেন যে লক্ষণে

সার আমদানির ঋণপত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ

যেসব জায়গা থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের কথা বললেন নুর

হলের সিট বণ্টন নিয়ে উত্তপ্ত কুবি, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি

আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিলো সরকার

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান

ব্রাজিলে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জোড়া বিস্ফোরণ, নিহত ১

ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠক, নির্বিঘ্নে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি