ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক আগামী ৯ ডিসেম্বর।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল ইসলাম সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
তিনি বলেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ এবং আরও একটি দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ২৮ জনের সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য সেবার বিষয়টি আসবে। জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ, রোহিঙ্গা ইস্যুও প্রধান্য পাবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে।
এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ রাষ্ট্রদূত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিশ্বনেতারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গেলে সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, ইতালি, হল্যান্ড, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বের অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার বৈঠক করার সুযোগ হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন। নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়।
ড. ইউনূস বলেন, দেশে ফিরে আসার পর এসব দেশের রাষ্ট্রদূতরা ঢাকায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমার সঙ্গে দেখা করে তাদের সরকারপ্রধানদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা সম্পূর্ণ নতুনভাবে আমাদের জন্য সহায়তার নতুন ছক তৈরির কাজ শুরু করেছেন। যেসব রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে অফিস করেন তারা দিল্লি থেকে এসে দেখা করে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০ দেশের ২০ জন রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে থাকেন। সাত দেশের সাত রাষ্ট্রদূত ঢাকায় আছেন। দিল্লি থেকে একসঙ্গে ২০ জন রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৭ রাষ্ট্রদূত সমবেতভাবে আমার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় আসবেন।
তিনি বলেন, আগে কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ জন রাষ্ট্রদূত একত্রিত হয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি। দিল্লি থেকে এ বিশাল সংখ্যক রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে বৈঠক করার জন্য আসেনি। এবার এ কাজটি করার পেছনে আছে ইইউর সমর্থন প্রকাশ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের সহযোগিতা গড়ে তোলা।
আমার বার্তা/এমই