বিগত সরকারের সময়ে পৃথিবীর বৃহত্তম তেল কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য জোরালো প্রচেষ্টা করেছে। তবে বিগত সরকার আরামকোকে স্বাগত জানায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান।
রোববার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি : প্রবণতা, মূল চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এই অভিযোগ করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করে। পৃথিবীর বৃহত্তম তেল কোম্পানি-আরামকো কয়েকবার বাংলাদেশে বিনিয়োগের চেষ্টা করলেও স্বাগত জানানো হয়নি। সৌদি আরবের চিত্র ১০ বছর আগের চেয়ে এখন অনেক ভিন্ন। সৌদিতে বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি যেমন অ্যাপল, আইবিএম’র মতো ৪৫০টি কোম্পানি কাজ করছে। সৌদি আরব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী। সৌদি কোম্পানিকে এখানে আমরা আমন্ত্রণ জানাব।
ঈসা দুহাইলান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। একে অপরের ইস্যু নিয়ে কেউ কখনও কথা বলেনি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, পর্যটনসহ নানাবিধ সহযোগিতার খাত রয়েছে। তবে দুই দেশের বিনিয়োগ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে। সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের ৩০ লাখ কর্মী সৌদি আরবে কাজ করছেন। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা আরও বড় পরিসরে বহুমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। শুধু হজ, কর্মী নিয়োগ, অনুদান নয় এর বাইরেও বাণিজ্যসহ নানা দিকে সম্পর্ক বিস্তৃত করতে চাই।
আমার বার্তা/এমই