রমজানের শুরু থেকেই গ্যাস সংকটে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের ভরসা ইলেকট্রিক, সিলিন্ডার কিংবা মাটির চুলা। শুধু আবাসিকেই নয়, রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলোতেও রয়েছে গ্যাস সংকট। বেশিরভাগ স্টেশনেই দেখা মিলছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। তিতাস বলছে, প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় দেখা দিয়েছে সংকট।
রমজানে ইফতার বানানোর তোড়জোড় থাকলেও বাদ সাধছে তীব্র গ্যাস সংকট। রাজধানীর কাঁঠালবাগানের বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাই রান্না করেন ঘরে তৈরি চুলার সাহায্যে। তারা জানান, বেশিরভাগ সময় ভুগতে হলেও, রোজা এলে ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ। গ্যাস কখন আসবে তা নিয়ে থাকতে হয় অনিশ্চয়তায়।
শুধু কাঁঠালবাগানই নয়, তীব্র গ্যাস সংকটে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর কলাবাগান, হাতিরপুল, সেন্ট্রাল রোড এলাকার বাসিন্দারা। বাধ্য হয়েই রান্না করতে হচ্ছে ইলেকট্রিক, সিলিন্ডার কিংবা লাকড়ির চুলায়। এতে একদিকে জ্বালানির খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি গ্যাস না পেলেও গুণতে হচ্ছে বিল।
গ্রাহকরা বলছেন, কোনো কোনোদিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া গেলেও দিনের পুরোটা সময়ে দেখা মেলে না গ্যাসের। গ্যাস না থাকলেও মাস শেষে বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে।
এদিকে, রমজানের শুরুতেই রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোতেও দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট। গাড়িগুলোর দীর্ঘ সারি জমছে স্টেশনগুলোতে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালক ও মালিকরা।
তাদের অভিযোগ, গ্যাসের চাপ কম দেখিয়ে গ্যাস কম দিচ্ছেন স্টেশনগুলো। তাছাড়া অল্প পরিমাণ গ্যাস মিললেও লাইনে দাঁড়িয়ে নষ্ট হচ্ছে অনেক সময়। এতে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
তিতাস বলছে, চাহিদার তুলনায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম থাকায় গ্যাসের এ সংকট। তবে অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে। তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ সাইদুল হাসান বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১৯৬০ মিলিয়ন ঘনফুট চাওয়া হচ্ছে পেট্রোবাংলার কাছে। তবে মিলছে ১৫০০ মিলিয়নের মতো। আশা করছি, খুব শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে।
চলতি বছর শীতের পুরোটা সময় ছিল গ্যাস সংকট। এ পটভূমিতে মার্চের শুরুতে শুরু হয়েছে রমজান মাস। গ্যাস নিয়ে এ মাসে ভোগান্তি যেন না পোহাতে হয়, সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নেবে এমনটিই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
আমার বার্তা/জেএইচ