দেশীয় প্রজাতির প্রায় বিলুপ্ত মাছগুলো রক্ষা করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের সব মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ সব ধরনের মাছ রক্ষায় কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে সঠিক পদ্ধতিতে চাষকৃত মাছেরও উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে ‘সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ এর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবহিতকরণ- শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করতে গিয়ে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। তাদের সচেতন ও প্রশিক্ষিত করতে মৎস্য কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিকল্পিতভাবে চাষকৃত মাছের উৎপাদন বাড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য দেশীয় প্রজাতির মাছ। ছোটবড় প্রায় সব মানুষের কাছে সুস্বাদু প্রাণিজ আমিষ হলো দেশীয় মাছ। আর এত প্রজাতির মাছ অন্য কোনো দেশে নেই। প্রায় বিলুপ্তির পথে থাকা মাছগুলোকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
দেশের জন্য মৎস্য কর্মকর্তা ও মাছ চাষিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব প্রকল্পকে আদর্শ ও আন্তর্জাতিক মানের করা উচিত। আর এজন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
দেশের নব্বই শতাংশ মাছ একসময় দেশীয় ছিল। দিন দিন এর পরিমাণ কমে যাচ্ছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে চাষকৃত মাছের উৎপাদন বাড়তে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে বলে মনে করেন মৎস্য উপদেষ্টা।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামার সমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (১ম পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সরকারি খামারগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশে মাছের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা। এছাড়াও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে খামারে উন্নত মৎস্য প্রযুক্তি স্থাপন, উন্নত কৌলিতাত্ত্বিক গুণসম্পন্ন প্রজননক্ষম মাছ সংরক্ষণ এবং মৎস্য খামারে নিয়োজিত জনবলের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে দক্ষতা উন্নয়ন।
আমার বার্তা/এমই