হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ফিলিস্তিন দখলকারী ও গণহত্যাকারী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধ বৈশ্বিক লড়াই ফরজ হয়ে পড়েছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা পৃথিবীর সমস্ত নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়েছে। মানবাধিকারের ধ্বজাধারী আমেরিকার বিবেক গণহত্যাকারী জায়োনিস্ট ইসরায়েলের কাছে জিম্মি। আমেরিকার প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতায় ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর বছরের পর বছর বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ক্যান্সার। এর মূলোৎপাটন করে ফেলতে হবো।
সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পল্টন জোনের সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
হেফাজত নেতারা বলেন, ফিলিস্তিন শুধু ইতিহাস নয়, এটি মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন। বহু আঘাত এসেছে, বহু অত্যাচার চলেছে; কিন্তু মুছে যায়নি। ভবিষ্যতে বিজয়ীদের ভূমি হবে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের মাটিতেই ইসরায়েলের কবর রচিত হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহতাআলা ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের অঞ্চলকে ‘পবিত্র ভূমি’ আখ্যা দিয়েছেন। ফিলিস্তিন এতটাই মোবারক স্থান, এখান থেকেই শুরু হয়েছিল নবীজির ইসরা ও মেরাজ।
রাসুল (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ইহুদিদের জুলুম, অত্যাচার ও দখলদারিত্ব একদিন শেষ হবে। মুসলমানদের একটি দল তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং বিজয়ী হবে। ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলতে পারবে না। ইসরায়েল ও তার দোসর সকল রাষ্ট্রের পণ্য বর্জন করার ডাক দেন হেফাজত নেতারা।
বক্তারা বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের টার্গেট করে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস করে ভারতীয় মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে দখল করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পল্টন জোনের সভাপতি দিলু রোড মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সালাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজীর পরিচালনায় আয়োজিত এ সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা হোসাইন আকন্দ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, হাকীম আজহারুল ইসলাম নোমানী প্রমুখ।
আমার বার্তা/এমই