বিদেশে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো বাড়ছে। তবে বেশিরভাগই সৌদি আরবের গিগা-প্রকল্পে কর্মসংস্থান খুঁজছেন। এ বছর দেশ থেকে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করেছেন- এমন প্রায় সাত লাখ মানুষের মধ্যে ৩ লাখ ৭৪ হাজারের বেশিই সৌদি আরবে গেছেন।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পরেই সৌদিতে যাওয়া লোকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মালয়েশিয়া ও কাতার।
বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত সচিব শাহ আবদুল তারিক আরব নিউজকে বলেন, বেশ কয়েকটি গিগা-প্রকল্পের কারণে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের উচ্চ চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দক্ষ লোক পাঠানো বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। আমাদের নির্মাণ শ্রমিকদের অনেকেই দক্ষ ক্যাটাগরিতে সৌদি আরব যান। অনেক চালক ও ইলেকট্রিশিয়ানও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
সৌদি আরব তার ভিশন ২০৩০ রূপান্তর পরিকল্পনার অধীনে বেশ কয়েকটি গিগা-প্রকল্প চালু করেছে। যার মধ্যে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের তত্ত্বাবধানে বহু বিলিয়ন ডলারের নিওম স্মার্ট সিটি রয়েছে।
সৌদি আরবের কর্মকর্তারা গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড স্কিল ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু করেন, যার লক্ষ্য সৌদি শ্রমবাজারে কর্মীদের পেশাগত দক্ষতাকে এগিয়ে নেওয়া। এটি প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান এবং নির্মাণ শ্রমি সহ বেশ কয়েকটি পেশার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের বেসরকারি খাতের রিক্রুটিং এজেন্টরা সৌদি গিগা-প্রকল্পগুলোর সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে সৌদি আরবে আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠানো আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি।
দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা সৌদি আরবকে বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
আমার বার্তা/জেএইচ