পর্যটনের ভূস্বর্গ খ্যাত মালদ্বীপ থেকে প্রতিনিয়ত ফেরত যাচ্ছেন বাংলাদেশি পর্যটকরা। এর বড় অংশ মালদ্বীপে বসবাসরত ওয়ার্ক পারমিটধারী প্রবাসীদের পরিবার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালদ্বীপে ওয়ার্কিং ভিসায় কর্মরতরা পরিবারকে ভ্রমণ ভিসায় আনতে চাইলে আগে ইমিগ্রেশনের অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় ফেরত যাওয়াসহ বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
বর্তমানে মালদ্বীপে আসা পর্যটকদের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম। প্রতিদিনই দেশটিতে ভিড় করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসুরা। দ্রুত বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যাও। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলে দেশটির আইন বহির্ভূতভাবে ভিসার আবেদন করার কারণে ভ্রমণ ভিসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন বাংলাদেশের পর্যটকরা। ফলে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ডিটেনশনে থাকার রুমরেন্টসহ খাবারের খরচ।
এ বিষয়ে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটকদের ভিসা না পাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বৈধ রিটার্ন টিকিট না থাকাসহ ঘুরতে যাওয়া, আসার তারিখ পর্যন্ত মালদ্বীপের রেজিস্টার্ড হোটেলে পেইড বুকিং কনফারমেশন লেটার সংগ্রহের ঘাটতি থাকা। এ ছাড়া পর্যটকদের সঙ্গে খরচ বাবদ দৈনিক ৩৫০-৪০০ ডলার নগদ মুদ্রা সঙ্গে বহন করতে ব্যর্থ হওয়া।
প্রবাসীরা বলছেন, মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন খুবই কঠোরভাবে চেক-ইনের মাধ্যমে ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশি পর্যটকদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলো সংশোধনের মাধ্যমে ভ্রমণ ভিসা জটিলতার সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
আমার বার্তা/এমই