
অপরাধবিরোধী পুলিশের অভিযানে ব্রাজিলের রাজধানী শহর রিও ডি জেনিরোতে ৬৪ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পরিচালিত এ অভিযানে নিহতদের মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এছাড়াও মাদক চোরাচালানসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি'র তথ্য মতে, মাদক চোরাচালান ও সংগঠিত অপরাধবিরোধী বিশেষ পদক্ষেপ ‘অপারেশন কনটেইনমেন্ট’-এর অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ অভিজানে কুখ্যাত অপরাধচক্র ‘কমান্ডো ভেরমেলহো’ (রেড কমান্ড)-এর সদস্যদের টার্গেট করা হয়।
সাঁজোয়া যান ও হেলিকপ্টার নিয়ে প্রায় ২,৫০০ পুলিশ সদস্য এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। অভিযানটি মূলত রাজধানীর আলেমাও ও পেনা ফাভেলা বস্তি এলাকায় পরিচালিত হয়েছে। এ ঘটনায় বস্তি এলাকা থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো এক ভিডিও বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অভিযানে ৬০ জন অপরাধীকে হত্যা করা হয়েছে। এটি ছিল একটি বৃহৎ আইনশৃঙ্খলা অভিযান, যেখানে ২৫০টিরও বেশি গ্রেফতার ও তল্লাশি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের লক্ষ্য ছিল রেড কমান্ডের সম্প্রসারণ রোধ করা এবং রিও ও অন্যান্য রাজ্যের অপরাধী নেতাদের আটক করা।
তবে পুলিশের এই অভিযানে এত সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। রিওর উত্তরাঞ্চলে সংঘটিত এ অভিযানটি স্থানীয় ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী পুলিশ অভিযানে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র বলছে, এ অভিযানে কিছু পথচারীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ উত্থাপন করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ ধরনের অভিযান প্রায়ই ভয়াবহ প্রাণহানির কারণ হচ্ছে । ২০২৪ সালে রিওতে পুলিশের অভিযানে প্রায় ৭০০ জন নিহত হয়েছেন।
তবে গভর্নর কাস্ত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ লিখেছেন, আমরা একটি অপরাধমুক্ত রিও ডি জেনিরো ও ব্রাজিল চাই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা যত শক্তিশালী হবে, মানুষ তত স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে।
আমার বার্তা/এল/এমই

