ই-পেপার রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যর্থতায় মানুষের আটকে থাকার কারণ

আমার বার্তা অনলাইন:
২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১৫
আপডেট  : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:২১

মুমিনের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হলো, মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। যেহেতু আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমার উপাসনা করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।’

(সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৫৬)

আল্লাহ যেহেতু আমাদের তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন, আমাদের উচিত ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনকেই জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নেওয়া। তাঁর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করা। তাঁর অফুরন্ত নিয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং তাঁর ওপর অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করা।

মুমিন যখন তার এই লক্ষ্য ভুলে গিয়ে নাফরমানি শুরু করে, আল্লাহর অগণিত নিয়ামত ভোগ করেও তার ওপর আস্থা রাখতে পারে না, তখনই তার ওপর নেমে আসে ব্যর্থতার আজাব। কিছু লোক সব পেয়েও ব্যর্থ হয়। মুক্ত বাতাসে থেকে ব্যর্থতার জিঞ্জিরে বন্দি হয়। যেমনটি হয়েছিল বনি ইসরাঈলের সঙ্গে।

ঘটনাটি মুসা (আ.)-এর যুগের। ফেরাউন ও তার সৈন্যবাহিনী যখন সমুদ্রে নিমজ্জিত হয় এবং মুসা (আ.) ও তাঁর সম্প্রদায় বনি ইসরাঈল ফেরাউনের দাসত্ব থেকে মুক্তিলাভ করে, তখন মহান আল্লাহ তাদের কিছু নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন এবং তাদের পৈতৃক দেশ শামকেও তাদের অধিকারে প্রত্যার্পণ করতে চাইলেন। সে মতে মুসা (আ.)-এর মাধ্যমে তাদের যুদ্ধের উদ্দেশ্যে পবিত্র ভূমি শাম (বর্তমান সিরিয়া, ফিলিস্তিন তথা বাইতুল মুকাদ্দাস) এলাকায় প্রবেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আগাম সুসংবাদও দেওয়া হলো যে এ যুদ্ধে তারাই বিজয়ী হবে। কারণ আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র ভূমির আধিপত্য তাদের ভাগ্যে লিখে দিয়েছেন, যা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।

কিন্তু বনি ইসরাঈল প্রকৃতিগত বক্রতার কারণে আল্লাহর সরাসরি সাহায্যে ফেরাউনের সাগরডুবি, তাদের মিসর অধিকার ইত্যাদি স্বচক্ষে দেখেও এ ক্ষেত্রে অঙ্গীকার পালনের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতে সক্ষম হলো না। তারা যুদ্ধ সম্পর্কিত আল্লাহ তাআলার নির্দেশের বিরুদ্ধে অন্যায় জেদ ধরে বসে রইল। তারা মহান আল্লাহকে ভয় না করে সামান্য কিছু মানুষকে ভয় করল।

তারা বলল, ‘হে মুসা, তারা যতক্ষণ সেখানে থাকবে ততক্ষণ আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না; কাজেই তুমি আর তোমার রব গিয়ে যুদ্ধ করো। নিশ্চয়ই আমরা এখানেই বসে থাকব।’

(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ২২-২৪)

পরিণতিতে মহান আল্লাহ তাদের শাস্তি দিতে বাধ্য হলেন, তারা ৪০ বছর পর্যন্ত একটি সীমাবদ্ধ এলাকায় অবরুদ্ধ ও বন্দি হয়ে রইল। বাহ্যত তাদের চারপাশে কোনো বাধার প্রাচীর ছিল না এবং তাদের হাত-পা শিকলে বাঁধা ছিল না; বরং তারা ছিল উন্মুক্ত প্রান্তরে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাদের সেই শাস্তির বর্ণনাও স্পষ্টভাবে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, তিনি (মুসা) বলেন, হে আমার রব! আমি ও আমার ভাই ছাড়া আর কারো ওপর আমার অধিকার নেই, সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন। তিনি (আল্লাহ) বলেন, ‘যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য তাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল যে তারা ৪০ বছর ধরে দিন-রাত সকাল সন্ধ্যা তীহ ময়দানে উদ্দেশ্যহীনভাবে ভবঘুরে জীবন যাপন করবে।’

(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ২৫-২৬)

এভাবেই যারা মহান আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামত ভোগ করেও তাঁর ওপর আস্থা রাখে না, তাদের জীবন ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে যায়। তারা পরকাল তো পায়ই না, দুনিয়াও তাদের জন্য বিশাদের হয়।

হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান, তুমি আমার ইবাদতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করো, আমি তোমার অন্তর ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দেব এবং তোমার অভাব দূর করে দেব। তুমি তা না করলে আমি তোমার দুই হাত কর্মব্যস্ততায় পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার অভাব-অনটন রহিত করব না।’

(তিরমিজি, হাদিস : ২৪৬৬)

অতএব, আমাদের উচিত আমাদের মূল লক্ষ্য ভুলে না যাওয়া। সর্বাবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া।

আমার বার্তা/এর/এমই

যে নারী সাহাবিকে ঈমানদার বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মহানবী (সা.)

উম্মুল ফাদল লুবাবা আল কুবরা (রা.)। তিনি রাসূল সা.-এর চাচা আব্বাস ইবনে আবদিল মুত্তালিব (রা.)

হজযাত্রীদের সেবায় চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার: থাকবে অ্যাপ

হজযাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা দিতে দেশে ও মক্কা-মদিনায় ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে।

সূরা কাহাফে হজরত মুসা ও খিজির (আ.) এর ঘটনা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, একদিন হজরত মূসা (আ.) বনী ইসরাঈলের এক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময়

অপবিত্র অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা যাবে কি?

অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা নাজায়েজ। যে গ্রন্থের অধিকাংশ লেখাই কোরআনের আয়াত তা স্পর্শ করার
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চীনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ২ হাজার বছরের পুরোনো: ঢাবি উপাচার্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি হারে ফোর্স নেওয়ার অনুরোধ

কিছু বিষয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, সমাধানে দরকার রাজনৈতিক ঐক্য

সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না

জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের সময় বাড়লো দুই মাস

বিজিবির কড়া প্রতিবাদ, ছিনিয়ে নেওয়া ৩ নৌকা ফিরিয়ে দিলো বিএসএফ

বিজয়ের কীর্তির দিনে জয় পেল আবাহনী ও মোহামেডান

দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করছে: জিএম কাদের

‘এনটিআরসিএ’র নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত সামাধান চান নিবন্ধনধারীরা

দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলারে

শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে পড়ে পেট্রোল বোমায় নারী দগ্ধ, জাতীয় বার্নে ভর্তি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে স্থানীয় সরকার সংস্কারের চূড়ান্ত প্রতিবেদন

ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত গেল বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ

রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি: নেপালের রাষ্ট্রদূত

যাত্রাবাড়ীতে মোবাইল চালাতে না দেওয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা

৮২৯৪ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, আবেদন করা যাবে আইন মন্ত্রণালয়ে

মিয়ানমারে অস্থিতিশীলতা বাড়লে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে

কাইয়ুম চৌধুরী বহিষ্কার, বারডেমের নতুন মহাপরিচালক মির্জা এম হাসান

ইনস্টাগ্রামে রিলস শেয়ার করার নতুন উপায়