ই-পেপার রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

ঢাকায় ফিরতে মরিয়া গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম!

শাহীন আলম:
০৪ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৮
আপডেট  : ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০:৪১

* কোটি টাকার মিশন

* বদলির কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু করেছেন তোড়জোড়

* এজন্য কাজ করছে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ একদল ঠিকাদার

* ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে আলিশান বাড়ি, কুয়াকাটায় ও কক্সবাজারে রিসোর্স এবং ফ্ল্যাট, রাজশাহীর গ্রামে বাড়ি, নিজ এলাকায় এমন কোনো জমির খতিয়ান নাই যে, তার জমি নেই বলে অভিযোগ রয়েছে

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। মোটা অংকের টাকা ও অঢেল সম্পদের মালিক এই জাহাঙ্গীর আলম। ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে আলিশান বাড়ি, কুয়াকাটায় ও কক্সবাজারে রয়েছে রিসোর্স এবং ফ্ল্যাট। রাজশাহীর পবার বাসানগর গ্রামের বাড়িতে জমি। তার সহকর্মীদের মুখ থেকে শোনা যায়, জাহাঙ্গীরের নিজ এলাকায় এমন কোনো জমির খতিয়ান নাই যে, তার জমি নেই। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি বদলি হয়েছেন রাজশাহীতে। আর এর মধ্যেই ফের ঢাকায় ফিরতে মরিয়া তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি বিভিন্নজনকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন এবং অচিরেই ঢাকা কার্যালয়ে ফিরছেন বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার অনুগত গণপূর্তের একদল উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও একদল ঠিকাদার কোটি কোটি টাকার মিশন নিয়ে এজন্য কাজ করছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হিসাব শাখায় তদন্ত করলে দেখা যাবে অধিকাংশ বিল/ভাউচার উপ-সহকারী প্রকৌশলী কিংবা বিভাগীয় প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ব্যতিরেকেই প্রদান করা হয়েছে। তথ্যমতে, রায়ের বাজার বদ্ধভূমি উপকেন্দ্রসহ আনুষঙ্গিক কাজের ১ কোটি টাকার বিল ও ঝিগাতলা ২৮৮টি ফ্ল্যাট (১০০০ বর্গফুট), ২টি ভবনের মোট ৮ কোটি টাকার বিল কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারকে প্রদান করা হয়েছে। এরকম অসংখ্য বিল নিজ ক্ষমতা বলে প্রদান করেছেন বলে ডিভিশনে গুঞ্জন আছে।

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ বিশেষ স্থাপনাসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বর্তমানে রাজশাহী ডিভিশনে কর্মরত আছেন। সেখান থেকে ফের ইএম ডিভিশন-৪ (সচিবালয়) অথবা ইএম ডিভিশন-৭ (সংসদ ডবন) পোস্টিং পেতে জোর তদবিরে নেমেছেন বলে জানা গেছে।

গণপূর্তের অনিয়ম দুর্নীতিতে নির্বাহী প্রকৌশলীদের তালিকায় ১ নম্বরে ছিলেন এই জাহাঙ্গীর আলম। তিনি কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের প্রয়োজনে হয়ে যেতেন আইন প্রণেতা। তারই অংশ হিসেবে জয়ন্তী প্রকল্প সাব ডিভিশন-ই পরিবর্তন করে ফেলেন জাহাঙ্গীর আলম। সাব ডিভিশন-৩ এর প্রকল্পের কিছু অংশ কার্যাদেশ দিয়েছিলেন সাব ডিভিশন-৪ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সঞ্জয় হালদারকে। যেমন, রোজ গার্ডেন এর কিছু অংশ বেঙ্গল স্টুডিওর দায়িত্বে আছে উপ-বিভাগ-৪। অথচ নিয়ম অনুযায়ী সাইট পরিবর্তনের ক্ষমতা রয়েছে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর।

অভিযোগে আরো জানা যায়, ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট, পাম্প অপারেটর, লিফট অপারেটর, সিসি ক্যামেরা অপারেটর, জেনারেটর অপারেটর, বড় বাবু বা হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অসংখ্য নারী ও পুরুষ লোকবল। ইএম বিভাগ-২ এর অধীনে উপ-বিভাগ ৩ ও ৪ এর লোকবল অধিকাংশই রাজশাহীর যা জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয়-স্বজন। এর মধ্যে কিছু লোকবল প্রয়োজন ছাড়াই নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো এবং তাদের বেতন ছিল দ্বিগুণ, এমনকি ঠিকাদারের অধীনস্থ এসব লোকবল দিয়ে চালিয়েছেন বড়বাবুর সেকশন প্রধানের দায়িত্ব, করিয়েছেন বিলএমবি। ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করতেন তাদেরকে। যদিও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদানের পরে কিছু অপ্রয়োজনীয় লোকবল চাকরিচ্যুত করেছেন। তবে বিষয়গুলো জানার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী রাজু আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি জানিয়েছেন আর্থিক সংকটের কারণে কমানো হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলমের উপর ক্ষিপ্ত গণপূর্তের অধিকাংশ ঠিকাদার। জানা যায়, কোনো ছোটখাটো ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ভিড়তে পারতেন না। নিতেন না কোনো ছোটখাটো ফিগার। এই জন্যই ছোট ঠিকাদারের স্থান ছিল না তার কাছে। অভিযোগ রয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার নিচে অগ্রিম হিসেবে গ্রহণ করতেন না। টাকা নেয়ার পর সবাইকে কাজ দিতেন এমনও নয়। কিছু সংখ্যক দিতেন বাকি ঠিকাদারের কাছ থেকে নেয়া টাকা বর্তমান পোস্টিং এর কারণে শোধ করতে পারেননি। কারণ হিসেবে জানা যায়, এরকম অসংখ্য ঠিকাদার থেকে একই ফিগার নিতেন। সেক্ষেত্রে সবার টাকা কম কম করে শোধ করতেন। যার ফলে ঠিকাদারদের অনেকেই জাহাঙ্গীর আলমের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের অধীনস্থ প্রায় একশ’ ঠিকাদার ছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ২০ জন ঠিকাদার ছিলেন তার বাধ্যগত। এই গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ, নারী সাপ্লাইয়ার ঠিকাদাররাই রুম দখল করে রাখতেন সব সময়। তার অফিস কক্ষের দরজা খোলার দায়িত্বে রাখতেন একাধিক উচ্ছৃঙ্খল অফিস কর্মচারী। এক হাজার টাকা বকশিশ দিয়েও সাধারণ ঠিকাদার ভেতরে ঢোকার অনুমতি পেতেন না। সাধারণ, সৎ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ঠিকাদাররা জাহাঙ্গীরের রেট মোতাবেক টাকা খরচ করতে না পারায় বঞ্চিত হয়েছেন কাজ পাওয়া থেকে ।

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, গণপূর্তের এই অসৎ নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম তার বদলির আদেশটি বাতিল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি এখনো। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টেলিফোনিক অত্যাচারে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সবাই তার উপর চরমভাবে বিরক্ত এবং ক্ষিপ্ত। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরপাক খাচ্ছেন পুনরায় ঢাকায় ঢোকার বদলির আদেশ করানোর জন্য।

নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি ২০১২ সালে বিআইডব্লিটিএ-এর সহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। সেখানেও তিনি বেপরোয়া ছিলেন। সেখান থেকে গণপূর্ত পূর্বের রেকর্ড ভেঙে সরাসরি নন-ক্যাডারে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন, যোগদানের পর থেকেই ঢাকার সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে ইএম বিভাগ-২ এর আওতাধীন মন্ত্রী পাড়া, মন্ত্রীদের সাথে ওঠা বসার কারণে জাহাঙ্গীর আলমের দাম্ভিকতা ও অহংকার বেড়ে যায়। এ কারণেই তিনি কাউকে তোয়াক্কা করতেন না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি সরকারি বাসায় উঠাকালীন সময়ে কাজের গাফিলতির ও সঠিক মান না হওয়ায় সঠিক সময়ে বাসায় উঠতে পারেননি বিধায় নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি ক্ষিপ্ত হন।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তার অধীনস্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের মধ্যে সুবিধা দেয়া দুই একজন তার কাছের ছিলেন অন্য সব প্রকৌশলীরা তার বেপরোয়া চলাফেরা, আচরণ এবং সীমাহীন দুর্নীতি সহ্য করতেন না বলেই তাদের সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি খুঁজে বের করে বা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বদলির চিঠি দিতেন। এমনকি তিনি সফলও হতেন। সেই ভয়ে অন্য প্রকৌশলীরা তার অন্যায় নিরবে সহ্য করতেন।

জাহাঙ্গীর আলমের অধীনস্থ ২টি উপ-বিভাগে (৩ ও ৪) দুইজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ১ জন নারী অফিসার সুরভী-৩ ও ১ জন পুরুষ অফিসার সঞ্জয় হালদার-৪। মন্ত্রীপাড়া সহ বিশেষ বিশেষ জুড়ি সডিকশনের দায়িত্ব পালন করেন-৪, উপ বিভাগ- ৩ এ ২ বছরে ৪ জন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নারীকে বদলি করা হয়। এছাড়া তার স্টাফ অফিসার হিসেবে ১ জন নারী কর্মী ১ বছর পূর্ণ না হতেই বদলি হন। এর কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের কুপ্রস্তাব এবং দুর্নীতির কাজে রাজি না হওয়ায় তারা নিজ চেষ্টায় অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি উপ বিভাগ-৩ এ জয়ন্তী নামের ৪০ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ শেষ না হতেই বিল প্রেরণ করতে চাপ দিলে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুরভী রাজি না হওয়ায় রাতারাতি একটি অফিস আদেশ জারি করে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী-৩ এর দায়িত্ব উপবিভাগীয় প্রকৌশলী-৪ সঞ্জয় হালদারকে সাইড হস্তান্তরের নির্দেশ দেন এবং ভাগাভাগির মিল তাল করে বিল প্রদান করেন। জয়ন্তী টাওয়ার উপ বিভাগ পরিবর্তন স্মারক নং ২২৮৫ তারিখ ১৬/০৫/২০২৩ইং যা গণপূর্তর বিধানে সাইড ডিস্টিভিশন করার এখতিয়ার শুধুমাত্র অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী। অনুসন্ধানে উঠে আসে যে, উপ-বিভাগ-৪ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে তার ছিলো সখ্যতা এবং সব কাজের ভাগাভাগি সম্পর্ক। এমনকি অধিকাংশ কাজেই তাদের দুজনের, ঠিকাদার ছিলো নামে মাত্র। বেইলি রোডের পার্বত্য ভবনের কাজ নিজেরাই করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

খবর নিয়ে আরো জানা যায়, যেকোন কাজের বিল দেয়ার আগে দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের সাথে জাহাঙ্গীর আলমের বনিবনা না হলে তার পছন্দের প্রকৌশলীকে অর্ডার করে বিল প্রদানের নির্দেশ দিতেন। সময়ের ব্যবধানে দায়িত্ব বদল করতে না পারলে দায়িত্বরত প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ব্যতিরেকেই নিজ ক্ষমতা বলে ঠিকাদারকে বিল প্রদান করতেন। তার প্রমাণ হিসেবে রায়েরবাজার বদ্ধ ভূমির উপকেন্দ্রসহ আনুষঙ্গিক কাজের বিলে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ব্যতিরেকে ও ঝিগাতলা প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ব্যতিরেকেই বিল প্রদান করা হয়েছে। এরকম অসংখ্য বিলই দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ছাড়াই প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে, দুর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ ৯ বছর সরকারের বিশেষ বিশেষ স্থাপনা পরিচালনা করতেন উপর মহল ঠিক রেখে। ওই মহলকে ঠিক রাখতে খরচ করতে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই অর্থ আসতো ভুয়া প্রাক্কলন এবং ভুয়া বিলের মাধ্যমে। অথচ ভবনের সমস্যা সমস্যাই থেকে যেতো। বিল প্রদান করার জন্য হিসাব শাখাটি ছিলো তার অনুগত। তাদের খুশি রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতেন তিনি। চেষ্টার অংশ হিসেবে ভুয়া ভাউচারে লাখ লাখ টাকার সুবিধা দিয়েছেন। এমনকি একাউন্ট শাখার কর্তার বাসায় পর্যন্ত রাষ্ট্রের অর্থায়নে এসির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়াও নারী সহকর্মীরা তার সাথে কাজ করতে নিরাপদ নয় এমন অভিযোগও আছে। জাহাঙ্গীরের ক্ষমতার দাপটে অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ভয়ে মুখ বন্ধ করে কাজ করতেন। তার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো কেউ না থাকায় একচ্ছত্র কায়েম করে ছিলেন তিনি। একটি বদলির আদেশ থেকে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি গণপূর্ত ইএম বিভাগ-২, ঢাকা থেকে ইএম পিঅ্যান্ডডি বিভাগ, রাজশাহীতে বদলি করা হয়। এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের ঢাকায় ফের বদলির খবরে নির্বাহী প্রকৌশলীদের আতংক বিরাজ করছে। তারা জাহাঙ্গীর আলমের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।

সবার প্রশ্ন, মাত্র ৪ মাস আগে যাকে অভিযোগের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে তাকে এরই মধ্যে ঢাকায় আনতে হবে কি কারণে বিসিএসের চেয়ে নন-ক্যাডার জাহাঙ্গীর আলম কি যোগ্যতাসম্পন্ন লোক হয়েছে।

অভিযোগে আরো জানা যায়, পিডব্লিউডির ইএম-২ ডিভিশনে চাকরি করে জাহাঙ্গীর আলম শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকার কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন যারা তার সাথে বোঝার মতো ক্ষমতা রাখেন তাদের বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে অভিযোগ দায়ের করে।

গণপূর্তর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিভিশনে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নারী সহকর্মীরা তার সাথে কাজ করতে নিরাপদ নয় এরকম বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে তদন্ত চলছে। গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি দুদক পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিআইডব্লউটিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল নাগাদ বিডব্লিউডিতে ডিউটি না করে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে বেতন তুলেছেন বলে অভিযোগও আছে। তবে এবিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম অস্বীকার করেছেন। তিনি নিয়মের বাইরে কিছু করেননি বলে দাবি করেছেন। আলাদিনের চেরাগের মতো প্রমোশনের পাশাপাশি শত কোটি টাকার ধন সম্পদের মালিকও হয়েছেন দুর্নীতিবাজ এই নির্বাহী প্রকৌশলী ।

জাহাঙ্গীর আলম। বিলাসী জীবন যাপন সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা যায়, উচ্চভিলাসী এবং মনোরঞ্জন ব্যক্তি। সরকারি ছুটির দিন তার জন্য ঈদ। ঢাকা থাকা অবস্থায় একেক ঠিকাদার একেক রিসোর্টে সুন্দরী, রমনী দিয়ে আনন্দ ও মনোরঞ্জন করাতেন। হুমায়ুন রোড ক্যাম্পের সামনে ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে রাতে নিয়ে আসতেন অনেক মডেল, খেলা শেষে একান্ত সময় কাটাতেন বিশেষ কোনো স্থানে। তিনি ঢাকা বোট ক্লাবে ১০ লাখ টাকা খরচ করে মেম্বারশিপ নিয়েছেন এমন খবরও শোনা গেছে।

দুর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর আলমের ডিভিশনে ২ জন এস্টিমেটরের পদ থাকলেও দায়িত্বে ছিল ১ জন। তার অতিরিক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাওয়াতে উপ-বিভাগ-৪ এর সেকশনে নিয়োজিত জুনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে এস্টিমেট চেক করাতেন এতে সুবিধা হয়েছে যে, সাইটে প্রাক্কলন প্রস্তুত করেন তিনি এবং তিনিই চেক করেন যাতে করে বেশি পরিমাণ দুর্নীতি করা যায় ।

গণপূর্ত অধিদপ্তরে অসংখ্য নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন কিন্তু কারো অফিস কক্ষের সামনে এত পরিমাণ ঠিকাদার অপেক্ষমান থাকতে দেখা যায়নি, যা জাহাঙ্গীর আলমের কক্ষের সামনে দেখা গেছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি সব কিছুই অস্বীকার করেন। তিনি মোহাম্মদপুরে ভাড়া থাকেন বলে জানান। আর তিনি একজন পরোপকারী মানুষ বলেও দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমার ভালো কাজ সহ্য করতে না পেরে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন।

আমার বার্তা/এমই

রাজউকের নির্মাণ বিধিমালা না মেনে নির্মিত হচ্ছে ইমারত

ঢাকায় ইমারত নির্মাণে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তৈরি হচ্ছে ইমারত। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর

লোকসানে ফেলেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর

   বছরে ৬০০ মিলিয়িন ডলার হারাচ্ছে সংস্থাটি    বিদেশি জাহাজে বাংলাদেশি নাবিকরা পরিত্যাজ্য আপন ভালো পাগলে বুঝলেও

জানার আগ্রহ আর আতঙ্কে অনেকেই এরপর কপাল ফাটবে কার ?

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পর সাবেক আইজিপি বেনজীর অধ্যায় শেষ না হতেই এনবিআরের মতিউরের ছাগলকাণ্ড আর

অসহায় হরিজনদের কথা শুনবে কে?

    প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা     স্থায়ী দলিল চান হরিজনরা     মার্কেট নির্মাণের পাঁয়তারা যে দেশে প্রায় ১০ লাখ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোপার সেমিফাইনাল কবে, কোথায়, কখন

বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে ‘থলের বিড়াল’

ঢাকাসহ চার মহানগরে বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি

পানামাকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে সেমিতে কলম্বিয়া

তলবের আগেই ব্যাংক থেকে মতিউরের ৮ কোটি টাকা উত্তোলন

রপ্তানি তথ্যে অসঙ্গতির জন্য দায়ী এনবিআর ও ইপিবি: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

তুরস্কের হৃদয় ভেঙে সেমিতে নেদারল্যান্ড

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে চারজনকে গুলি করে হত্যা

গণহত্যা ইস্যুতে হুমকির মুখে আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা

সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরোর সেমিতে ইংল্যান্ড

সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ইউপি চেয়ারম্যান খুন

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ রূপে বন্যা, ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কোটা বাতিলের দাবিতে আজ সারাদেশে সড়ক অবরোধ

চীন সফরে হতে পারে যেসব সমঝোতা সই

‘গাজার ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই’

টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উরুগুয়ে

০৭ জুলাই ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

সাপের কামড়ে আহত কৃষক ঢাকা মেডিকেলে

পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই

চট্টগ্রামে আবারও সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ