অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তারই পরিষদের ৮ ইউপি সদস্য সংবাদ সন্মেলন করেছেন।
সুনামগঞ্জ দিরাই উপজেলার ৩ নং রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন তার পরিষদের আট সদস্য। একই সঙ্গে, তার বিরুদ্ধে আইনগতব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। সোমবার বিকাল ৩ ঘটিকায় পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাঈদ আহমদ খসরুর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের ৮ সদস্য এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাঈদ আহমদ খসরু: সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। গত তিন বছর ধরে তিনি অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্প, বার্ষিক উন্নয়ন ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিলের আওতায় নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন না করে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাৎ করে আসছে। ট্যাক্স টাকার কোনো হিসাব পরিষদের সদস্যদের জানান না তিনি। এছাড়া, ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে তিনি সকল টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।
সরকারি যেকোনো উন্নয়নমূলক বরাদ্দ যেমন টিয়ার কাবিখা কাবিটা কর্মসূচির বরাদ্দকৃত টাকার ২৬ শতাংশ টাকা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলকে চাঁদা দিতে হয় অন্যথায় তিনি স্বাক্ষর করেন না। এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অপরিচিত ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও তিন নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আবু তাহের মিয়া ভুয়া মা-বাবা বানিয়ে জন্ম নিবন্ধন ও পরিচয় পত্র প্রদান করেন। চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন ।
৭ নং ওয়ার্ড সদস্য রেনু মিয়া বলেন: এলজিএসপিএর বরাদ্ধকৃত অর্থ ও কাবিখা ও কাবিটা এডিপি কোথায় কিভাবে কাজ করে আমাদের জানা নাই। ইউনিয়নের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রতিবাদ করলে তিনি গালিগালাজ করাসহ নানা হুমকি-ধামকি দেন।
৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সুদ্বিপ দাস বলেন: অত্র এলাকায় ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা প্রতিবন্ধি ভাতা বিধবা ভাতা মাতৃত্ব ভাতা বরাদ্দ করেন সম্পূর্ন নিজের ইচ্ছামত। এবং বয়স্ক,বিধবা,মাতৃত্ব ভাতার জন্য তিন হাজার টাকা করে নেন।
এ অবস্থায়, ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে রাজানগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য জসিম উদ্দিন জসিম, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সুদ্বিপ দাস,৬ নং ওয়ার্ড সদস্য বিপ্লব তালুকদার,১,২,৩ নং ওয়ার্ড মহিলা সদস্য মাজেদা বেগম, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড মহিলা সদস্য ডলি রানী দাস, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড মহিলা সদস্য হিরন মালা বেগম, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য রেনু মিয়া,৮ নং ওয়ার্ড সদস্য সাঈদ আহমেদ খসরু উপস্থিত ছিলেন।