আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন না থাকলে আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা আরও কমবে। এদিকে, উত্তরের হিম শীতল বাতাস ও তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২ জানুয়ারি এ জেলায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ওই দিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। এসময়ের মধ্যে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। সবশেষ গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরেকটু কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন না থাকলে আগামীকাল শুক্রবার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে নামতে পারে।
এদিকে, হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ জেলার মানুষ। খুব প্রয়োজন ছাড়া তারা সকালে বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে তাদের কাজে বেরোতে হচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
আমার বার্তা/জেএইচ