ছয়দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বুড়িমারী-লালমনিরহাটের ট্রেন চলাচল। ২১ এপ্রিল থেকে বুড়িমারী থেকে ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধনের পর থেকে এ রুটে চলাচল করা চার জোড়া ট্রেন বন্ধ রয়েছে।
অবরোধকারীরা জানায়, বহুল প্রতীক্ষিত বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি গত বছরের ১২ মার্চ চলাচল শুরু করে। তবে নাম বুড়িমারী এক্সপ্রেস হলেও ট্রেনটি লালমনিরহাট থেকে ঢাকা নিয়মিত চলছে। আর বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত একটি শাটল ট্রেন দেওয়া হয়েছে।
ট্রেনটি চলাচল শুরুর পর থেকে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলাবাসী বুড়িমারী এক্সপ্রেস বুড়িমারী থেকে চালুর দাবি জানিয়ে তিন দফা অবরোধ, অবস্থান, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল কর্তৃপক্ষ বুড়িমারী থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস চালুর আশ্বাস দেয়। সে অনুযায়ী বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশনে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। কিন্তু সে আশ্বাস শুধুমাত্র আশ্বাসে সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
পরে গত ২১ এপ্রিল জেলার হাতিবান্ধা ও পাটগ্রামে রেলপথ অবরোধ করে বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন পরিষদ। পরে এ আন্দোলনে যোগ দেয়, পাটগ্রাম উন্নয়ন পরিষদ, হাতিবান্ধা উন্নয়ন পরিষদ, বিএনপি, শিক্ষক সমিতি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
পাটগ্রাম সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সিদ্দিকী কাকন বলেন, সম্প্রতি কয়েকদফা আন্দোলনের পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বুড়িমারী থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস চালুর আশ্বাস দেয়। সে অনুযায়ী বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু ট্রেনটি আর চালু হয়নি।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল বলেন, বরাবরের মতো আন্তঃনগর এক্সপ্রেসের সেবা বঞ্চিত থাকে আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার মানুষজন। ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে চালু হলে শুধু যানবাহন হিসেবে মানুষজন উপকৃত হবে এমনটি নয়। জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
অবরোধকারীরা জানায়, আগামী সোমবারের মধ্যে বুড়িমারী এক্সপ্রেস বুড়িমারী থেকে চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করলে রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথ অবরোধ করা হবে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই