যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে সাপের দংশনে সুমাইয়া খাতুন (১১) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। একই সাপের কামড়ে অসুস্থ তার মা খাদিজা খাতুন (৩২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২৫ জুন) গভীর রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া মাঠপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিবারের লোকজন সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
মৃত সুমাইয়া খাতুন ওই গ্রামের ইমদাদুল হকের মেয়ে। সে স্থানীয় মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
সুমাইয়ার নানি ফুলমতি বেগম জানান, বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে সুমাইয়া খাতুন ও তার মা নিজ ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় একটি সাপ ঘরে ঢুকে প্রথমে সুমাইয়াকে দংশন করে। এরপর তার মা খাদিজা খাতুনকে দংশন করে। তাদের চিৎকারে ঘুমিয়ে থাকা সুমাইয়ার বাবা ও পরিবারের লোকজন উঠে সাপটিকে পিটিয়ে মারে। এরপর ভোর ৪টার দিকে সুমাইয়া ও তার মাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে ৮টার দিকে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। তার মা খাদিজা খাতুন চিকিৎসাধীন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার লামিয়া ইয়াসমিন জানান, সুমাইয়ার পরিবার মৃত সাপের ছবি তুলে এনেছিল। সাপটি পাতি কাল কেউটে নামে পরিচিত। সুমাইয়া ও তার মাকে প্রতিষেধক দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সুমাইয়াকে প্রথম দংশন করায় সে সার্ভাইভ করতে পারেনি।
আমার বার্তা/এল/এমই