গতকাল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রাজস্থলী উপজেলা বাঙ্গালহালিয়াতে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর একটি রত্রযাত্রা অনুষ্ঠান হলো এই বছরে বাঙ্গালহালিয়াতে নতুন করে রাধা মদন গোপাল গিড়ি ধারী মন্দির রত্রযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।বাঙ্গালহালিয়াতে রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির সুত্রে জানা যায়, গত ২৭শে জুন (শুক্রবার) রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সকালে বাঙ্গালহালিয়া ছাগলখাইয়া শ্রী শ্রী গৌরনিতাই জগন্নাথ মন্দির ও বাঙ্গলহালিয়া শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল গিরি ধারী মন্দিরে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। এই উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী জগন্নাথ দেব এর পূজা,বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ,আরতি কীর্তন, মহাপ্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজন করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস,জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া দুপুর ৩টায় বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন গৌরনিতায় জগন্নাথ মন্দিরের সামনে থেকে এবং রাধা মদন গোপাল গিরি ধারী মন্দিরের সামনে থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন শেষে রথ টেনে নিয়ে বাঙ্গালহালিয়া বাজারের উত্তর দক্ষিণ দিক প্রদক্ষিণ করে আবাসিক হিন্দু পাড়া হয়ে স্ব স্ব মন্দিরে মাসির বাড়িতে এসে শেষ হয় ।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ মহারাজ,রাধা মদন গোপাল গিড়ি ধারী মন্দির অধ্যক্ষ মাধব গৌর দাস বাবাজি,শ্রী শ্রী গৌর নিতাই জগন্নাথ মন্দির সেবক জুনুরাম দে (সাধু),মাধব বন্দু বাবাজী,পংকজ ভুষন চৌধুরী,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ও সহ- সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ পূজা উদ্ যাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির জিকু কুমার দে,রঘুনাথ বিশ্বাস,শিমুল দাস,রিটন দত্ত,বিশিষ্ট গীতা পাঠক জগদীশ দেবনাথ পূজন,সুব্রত দে,বিশু মৌলিক,বিপ্লব মৌলিক,শিবু ধর, সাংবাদিক মিন্টু নাথ,লাভলু মৌলিক প্রমুখ।
বাঙ্গালহালিয়া রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির সুত্রে আরো জানা যায়, আগামী ৭ই জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের এই রথযাত্রা উৎসবের সফল সমাপ্তি ঘটবে। আর ওইদিন সকাল থেকে দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠামালার আয়োজন থাকবে মন্দির গুলোতে। এদিকে দুইটি মন্দিরে রত্রযাত্রা উৎসব শুরু থেকেই চন্দ্রঘোনা থানার ওসির দিক নির্দেশনা দুইটি মন্দিরে পুলিশ সার্বক্ষণিক শান্তি ভাবে আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন।