ফরিদপুরে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২১) ধর্ষণের দায়ে মো. ইসমাইল শেখ (৪৭) নামে এক আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভিন এই রায় দেন। জেলা কালেক্টর অর্থদণ্ডের অর্থ আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদান করবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইসমাইল শেখ ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর খাড়া পাড়া গ্রামের আমিন শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে পাটক্ষেতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এই বিষয় নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকে দণ্ডিত ইসমাইল শেখ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি সালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী ২০২৩ সালের ৬ জুন বিকেলে নিজ বাড়িতে মৃত সন্তান জন্ম দেন। ঘটনার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকের মরদেহ নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় ২০২৩ সালের ৯ জুন একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন বলেন, আসামি ইসমাইল শেখকে বাক-বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের দেন। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। যা জেলা কালেক্টর আসামির জমিজমা বিক্রি করে ভুক্তভোগীকে প্রদান করবেন। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।
আমার বার্তা/এল/এমই