
রাঙ্গামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সংযোগ সড়কের কামিলাছড়িতে বন্যহাতির আক্রমণে আহত আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মোট দুই নারীর মৃত্যু হলো। এছাড়া আরও দুজন অটোরিকশা যাত্রী আহত হয়েছেন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে হাতির আক্রমণের দুইটি পৃথক ঘটনা ঘটে। এ দুটি ঘটনায় দুইটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে যায় এবং একটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিহত দুই নারী হলেন- ঝর্না চাকমা (৬০) ও সবিতা চাকমা (৬২)। এরমধ্যে ঝর্না চাকমা রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা এবং সবিতা চাকমা মগবান ইউনিয়নের গলাছড়ি এলাকার বাসিন্দা। আহতরা হলেন- অনিমেষ চাকমা ও ত্রিজয় চাকমা। তাদের বিস্তারিত নামঠিকানা জানা যায়নি।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ধন বিকাশ চাকমা বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাতির আক্রমণে একজন নারী নিহত হন৷ আহত আরেকজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আজকে তিনিও মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত ছিল আরও দুই অটোরিকশার যাত্রী।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে সদরবিট এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় বন্যহাতির পাল আক্রমণ করে। তখন ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশাটি নিরাপদ দূরত্বে সরে যায় এবং আমাদেরকে আক্রমণের ঘটনাটি জানায়। বন বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলের দিকে যায় এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে কামিলাছড়ি এলাকায় রাস্তায় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখে। সেখানে দুইজন বয়স্ক নারী আহত অবস্থায় ছিলেন। পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়। আহত আরেকজনকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও আজ মারা যান।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনাস্থলে বিচ্ছিন্নভাবে দুইটি হাতির পাল ছিল। দুটি পালে শাবকসহ ৬-৭টি হাতি ছিল। পরবর্তীতে রাত ৭টার মধ্যেই আমরা ওই সড়কে যাতায়াত ও পর্যটকদের সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় নিরাপদে সরিয়ে এনেছি।
আমার বার্তা/এল/এমই

