মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচি থেকে ‘জৈব বিবর্তন’ বা ডারউইনের মতবাদ বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববা ( ১৭ আগস্ট) রাজধানীর খিলক্ষেতের বাসিন্দা ও দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আরিফের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।
শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী বছর থেকে নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বইয়ে ‘জৈব বিবর্তন’ তত্ত্ব বাদ দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘জৈব বিবর্তন’ শিক্ষাক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের বিজ্ঞান অধ্যায়ে ‘পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি ও বিকাশ’ এবং জীববিজ্ঞান অধ্যায়ে ‘জীবের বংশগতি ও জৈব অভিব্যক্তি’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বহু বিতর্ক, তর্ক ও মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও বিতর্ক হয়েছিল।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এ বিষয় আইনজীবী সারোয়ার হোসেন বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে কেমব্রিজ শিক্ষাক্রমে ‘ও’ লেভেল পর্যন্ত বিবর্তনবাদ তত্ত্ব পড়ানো হয় না। তুরস্ক, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, ওমানসহ অনেক দেশের মাধ্যমিক পর্যায়েও পড়ানো হয় না। ২০২৬ সালের নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বইয়ের পাঠ্যসূচি থেকে ‘জৈব বিবর্তনবাদ’ তত্ত্ব তথা ডারউইনের মতবাদ বাদ দিতে অনুরোধ জানিয়ে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই