
আল ইহসান একাডেমির বার্ষিক ফলাফল দিবস–২০২৫ আনন্দঘন, উৎসবমুখর ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল ইহসান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মজিবর রহমান হাওলাদার।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দেশপ্রেম ও ঐক্যের বার্তা তুলে ধরা হয়। এই আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠানে এক গম্ভীর ও প্রেরণাদায়ক আবহ সৃষ্টি করে।
আল ইহসান একাডেমির একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর নাজির সাবরি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও অতিথিবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সারা বছরের একাডেমিক অগ্রগতি, শৃঙ্খলা ও সাফল্যের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই দিনটি আল ইহসান একাডেমির জন্য গর্ব ও কৃতজ্ঞতার দিন। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানটি মহান বিজয় দিবসের চেতনায় উদযাপিত হচ্ছে, যা আমাদের স্বাধীনতা, ত্যাগ ও আত্মবিশ্বাসের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যেভাবে জাতি ঐক্য ও দৃঢ়তার মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছে, ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীরাও পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেদের সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
তিনি আরও জানান, আল ইহসান একাডেমিতে শিশুবান্ধব ও আনন্দময় পরিবেশে শিক্ষা প্রদান করা হয়। ‘খেলতে খেলতে শেখা’ পদ্ধতির মাধ্যমে গল্প, খেলা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষাকে সহজ ও উপভোগ্য করে তোলা হয়। বক্তব্যের শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের ঈমান, আখলাক ও জ্ঞানের সমন্বয়ে গড়ে তোলার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি সাইদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সঙ্গে একাডেমিক শিক্ষার সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সৎ, দায়িত্বশীল ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মজিবর রহমান হাওলাদার উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আরেকটি সফল শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন হওয়ায় মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যের পেছনে অভিভাবকদের আস্থা ও শিক্ষকদের নিষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি মানসম্মত ও আদর্শ শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, ইসলামী মূল্যবোধ বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য বয়সোপযোগী আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরণ এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান। শিক্ষার্থীদের সাফল্যে অভিভাবকদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল ও সাফল্যের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

