কাস্টিং কাউচ- অর্থাৎ অভিনয়ে সুযোগ দেওয়ার শর্তে শিল্পীদের সঙ্গে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অগণিত ঘটনা রয়েছে দেশ-বিদেশের শোবিজ অঙ্গনে। বলিউডেও এ ধরনের ঘটনা যেন অহরহ। প্রায় অভিনেত্রী-নায়িকারা সম্মুখীন হয়েছেন এমন ঘটনার; তা থেকে রেহাই পাননি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জনি লিভারের মেয়ে জ্যামি লিভারও।
মূলত, এক অডিশনে জ্যামিকে পোশাকহীন অবস্থায় দেখার প্রস্তাব দিয়ে বসেন পরিচালক। আর সে কথাই তুলে ধরলেন এক সাক্ষাৎকারে।
যখন ঘটনাটি ঘটেছিল তখন জ্যামির কোনো ম্যানেজার ছিল না। এক কাস্টিং এজেন্ট সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানান, একটি আন্তর্জাতিক মানের ছবির জন্য জ্যামিকে কাস্ট করানো হবে। এও জানান, পরিচালকের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে অডিশন হবে।
সে ঘটনা নিয়ে জ্যামি বলেন, ‘ওরা বলেছিল আমায় কোনো স্ক্রিপ্ট আগে দেবে না। কারণ, অডিশনের মধ্যেই ইম্প্রোভাইজেশন দরকার। ওই কাস্টিং এজেন্ট আমাকে একটা লিঙ্ক পাঠিয়ে যোগ দিতে বলে। কলের লিঙ্কে যোগ দিতেই, ওপারে থাকা পরিচালক তার ভিডিওটি বন্ধ করে দেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেন, যেহেতু তিনি ট্রানজিটে আছেন, তাই তিনি তার ক্যামেরা চালু করতে পারবেন না।’
কিছুক্ষণ কথোপকথনের পর নাকি লোকটি জ্যামিকে জানান, এই অডিশন কোনো কমিক চরিত্রের জন্য নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক মানের ছবিতে একটি সাহসী মেয়ের চরিত্রের জন্য। তার পরেই পরিস্থিতি আরও কুৎসিত হয়; ভিডিও কলে অডিশন হিসেবে এমনটিই দেখতে চেয়েছিলেন পরিচালক!
জ্যামির কথায়, ‘ওরা বলে, তুমি কল্পনা করো, তোমার সামনে একজন ৫০ বছর বয়সী পুরুষ আছে এবং তুমি সেই ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছ, এবং অবশেষে, একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।’ এটা শোনার পর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি জেমি। তার কথায়, ‘আমি বলেছিলাম আপনি যদি ভিডিও কলে আমাকে পোশাকহীন অবস্থায় দেখতে চান, তা হলে আমি এটা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না এবং আমাকে এ সম্পর্কে আগে থেকে জানানো হয়নি। এটা শোনার পর আমি এখনই আপনার সঙ্গে কথা বলতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না।’
আমার বার্তা/জেএইচ