
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ডামি নির্বাচনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুটি অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিন রায় ঘোষণার আগে ধানমন্ডি ৩২ আবার ভাঙতে ট্রাকে করে দুটি বুলডোজার নেওয়া হয়। সেখানে ছাত্র-জনতাকে হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে খুনি হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনগণ।
তবে আজ আবার ৩২ নম্বরে যারা বুলডোজার নিয়ে গেছেন তাদেরকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ‘আওয়ামী কালচারাল ফ্যাসিস্ট খ্যাত’ অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। ছাত্র-জনতাকে ‘রাজাকার’ বলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন। অনেকেই এই অভিনেত্রীর কড়া সমালোচনা করে তাকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। আওয়ামী কালচারাল ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা।
শাওনের পোস্টের জবাবে দিনাত জাহান মুন্নি লিখেছেন, ৩২ নম্বর তো, তাই ৩২ বার ভাঙতে হবে।
নাসির উদ্দিন খান নামে এক ব্যক্তি শাওনকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘সাহস থাকলে আজ ৩২ নম্বর আয়। ওর সাহস আওয়ামী লীগের নেতাদের...সময় থাকে।
আলামিন সোহাগ লেখেন, শাওন হয়তো কিছু একটা হারিয়ে ফেলেছে, এজন্য ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে এত কান্নাকাটি করছে।
সাব্বির নামে এক ব্যক্তি বুলডোজার নিয়ে শাওনের বাসায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
মুহাম্মদ আল আমিন হোসাইন আওয়ামী দোসর শাওনকে ‘শাহবাগি’ উল্লেখ করে তার শাস্তি দাবি করেছেন।
মাহদী হাসান ফরাজী নামে আরেক নেটিজেন বলেন, দেশে থেকেও এই....(উল্লেখযোগ্য নয়) এত নিরাপদ থাকে কী করে?
আব্দুল বাসের খুনি হাসিনার দোসর শাওনকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এসকে সবুজ হোসেন লিখেছেন, এই ‘কুলাঙ্গার’ এখনো অবাধে চলাচল করে কেমনে?
জামাল আজিজ বলেছেন, বুলডোজার বার বার ৩২ না গিয়ে শাওনের বাড়িতে যাওয়া উচিত।
দিদারুল ইসলাম বলেন, শাওন, এরকম কথা বলে বাসায় থাকতে পারছে- এটাই হাসিনামুক্ত নতুন বাংলাদেশ। হাসিনার আমলে যদি আওয়ামীবিরোধী এরকম কথা বলতো, তবে এতক্ষণে থানায় অথবা গুম ঘরে থাকতে হতো।
আফিয়া সিদ্দিকা বলেন, এই মেয়েটাকে এখনো কেন সরকার অ্যারেস্ট করে না?
মারুফ হোসাইন বলেন, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।
মাকসুদ আলম পাটোয়ারী বলেন, এই ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্টটিকে কেউ ৩২ নিয়ে ছেড়ে দাও, ৩২ থেকে তার কান্নার শব্দে যেন আওয়ামী লীগের ঘুম ভাঙে!
শরীফুল ইসলাম বলেন, শাওনের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়ার জোড় দাবি জানাচ্ছি।
শাহরিয়ার আরাফাত লিখেছেন, ওই বুলডোজারটা এই নাস্তিকের (শাওন) বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হোক।
রুবেল কানিস নামে একজন লিখেছেন, শাওন ভারতের একজন গুপ্তচর হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান করছে, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। তার জমি, ব্যাংক ব্যালেন্স জব্দ করা হোক, তার বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক বুলডোজার দিয়ে।
শাওনকে উদ্দেশ করে মোহাম্মদ ইউনুস লিখেছেন, ‘লেজ কাটা শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক’।
ফজলে রাব্বি অভিনেত্রী শাওনকে ‘ভারতীয় এজেন্ট’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
আমার বার্তা/এমই

