
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ফাঁসির দাবি নিয়ে আজ সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাইতে আহত হওয়া মানুষেরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে তারা ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এরপর তারা হাইকোর্টের মাজার রোড সংলগ্ন গেটের সামনে অবস্থান নেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রাইবুনালের রায় দেখতে আসা স্বজন ও আহতদের কারও হাতে শহীদ স্বজনের ছবি, কেউ ব্যানার-পেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে। তাদের একটাই দাবি- এই মামলায় হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।
মিরপুর থেকে আসা জুলাই আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, সেদিন যখন পুলিশের গুলি আমার পায়ে আঘাত করে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই সড়কে পড়ে যাই। তখন শত চেষ্টা করেও উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না। এরপর আর কিছু লোক টেনে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই দিনগুলোর বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ছিল, সেটা আমরা আজও ভুলতে পারছি না। আজ এখানে এসেছি সেই দিনটার বিচার দেখতে। হাসিনার ফাঁসি হলেই মনে হবে শহীদ ভাইদের রক্ত বৃথা যায়নি।
উত্তরা থেকে আসা এক আহত বলেন, আমি কোনো রাজনীতির মানুষ নই। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলাম। এখনো মনে হয়, পেছন থেকে কেউ ধাক্কা দেবে। তারপরও আজ এসেছি- কারণ অন্যায় দেখেও চুপ থাকা যায় না।
এদিকে রায় ঘোষণাকে ঘিরে গোটা এলাকা সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনায় আচ্ছন্ন। ট্রাইব্যুনাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত রাস্তা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা। পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। গোয়েন্দারা নজর রাখছেন প্রতিটি প্রবেশপথে। দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়ক গত রাত থেকেই বন্ধ। সাধারণ মানুষের চলাচলেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা; সন্দেহজনক মনে হলেই জিজ্ঞাসাবাদে নেওয়া হচ্ছে।
আমার বার্তা/জেএইচ

