যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে যে ধরপাকড় শুরু হয়েছে তা ব্যাপক বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। আর এই বিক্ষোভ এখন আর ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ জানিয়েছে, আইসিইবিরোধী বিক্ষোভে অনেক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ফেডারেল ভবনের সামনে যানবাহন আটকে দিয়েছিল।
তাছাড়া আটলান্টায় আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে আইসিই ভবনের বাইরে জনতা জড়ো হয়েছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বোস্টন, হিউস্টন এবং ফিলাডেলফিয়াসহ বিভিন্ন শহরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে জাতীয় রক্ষী বাহিনীর (ন্যাশনাল গার্ড) অতিরিক্ত সদস্য পৌঁছানোর আগে সাময়িকভাবে প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঠেকাতে গত রোববার (৮ জুন) লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত সৈন্যদের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
এদিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা ফেডারেল ভবনের আশপাশে অবস্থান নেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ চলাকালে কংক্রিট, বোতল ছোড়ার অভিযোগ এনে পুলিশ বেশ কয়েকটি সমাবেশ ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। ভিডিওতে দেখা যায়, আলফাবেটের ওয়েমো কোম্পানির কয়েকটি স্বচালিত গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি
আমার বার্তা/এল/এমই