ইসরায়েলি হামলার মধ্যে কোনও যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেবে না ইরান। বিষয়টি এরই মধ্যে কাতার ও ওমানের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছে তেহরান। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দেশটির এক কর্মকর্তা রোববার (১৫ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন। এদিকে দুই শত্রু পক্ষই নতুন করে হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সংঘাতের সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান কাতার ও ওমানের মধ্যস্থতাকারীদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ইসরায়েলের পূর্ববর্তী হামলার জবাব সম্পূর্ণ না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোনও ধরনের আলোচনায় যাবে না।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইরান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে হামলার মধ্যে তারা কোনও আলোচনা করবে না।’
শুক্রবার সকালে ইসরায়েল আকস্মিকভাবে ইরানের ওপর হামলা চালিয়ে তেহরানের সামরিক নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়কে নিশ্চিহ্ন করে দেয় এবং তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতি করে। ইসরায়েল জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে এই অভিযান আরও তীব্র হবে।
ইরান পাল্টা প্রতিশোধে ইসরায়েলে ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছে—যা এই দুই চিরশত্রুর মধ্যে সবচেয়ে বড় সরাসরি সংঘাতে রূপ নিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে আরও জানান, ইরান যে ওমান ও কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতার অনুরোধ করেছে—বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর সঠিক নয়।
রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা ওমানের তথ্য মন্ত্রণালয়।
গত কয়েক মাসে ওমান যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা পরিচালনায় মধ্যস্থতা করেছে। যদিও ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলার এক দিন পর সর্বশেষ দফাটি বাতিল করেছিল ইরান।
কাতারও অতীতে এই দুই শত্রু দেশের মধ্যে আলোচনা সহজতর করতে ভূমিকা রেখেছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি বন্দি বিনিময় চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিল কাতার।
ওমান ও কাতার—উভয় দেশেরই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা ইসরায়েলের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে।
আমার বার্তা/জেএইচ