ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাতভর রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, ড্রোন হামলার পরপরই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এসব হামলায় রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সরকারি ভবনে আগুন ধরে যায়।
টেলিগ্রামে দেয়া বার্তায় ক্লিচকো জানান, ড্রোন হামলায় এক শিশু ও এক তরুণী নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীসহ পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে তিনি জানান, নিপ্রো নদীর পূর্বে দারনিতস্কি জেলায় একটি বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন।
রাষ্ট্রীয় জরুরি বিভাগ জানায়, ওই এলাকায় ড্রোন হামলায় চারতলা আবাসিক ভবনের দুইতলায় আগুন ধরে যায় এবং ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় সভিয়াতোশিনস্কি জেলায় নয়তলা একটি ভবনের কয়েকটি তলা ধসে যায়। মেয়র ও জরুরি কর্মকর্তারা জানান, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে ১৬ তলা একটি ভবন ও আরও দুটি নয়তলা ভবনে আগুন লাগে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি বিভাগের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বেশ কিছু আবাসিক ভবনে আগুন জ্বলছে, কিছু ভবনের তলা ভেঙে পড়েছে ও দেয়ালের অংশ ধসে পড়েছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো অভিযোগ করে বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করছে।
দক্ষিণের ওডেসা শহরে বেসামরিক স্থাপনা ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একাধিক অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন গভর্নর ওলেহ কিপার।
হামলার বিষয়ে মস্কো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। দুই পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে হাজারো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
আমার বার্তা/এল/এমই