
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। গত ১০ অক্টোবর চুক্তি কার্যকরের পর এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে শিশুসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। এতে ধ্বংস হয়ে যায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০০।
এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে আরও দুই ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংগঠনটির কাছে এখনও আরও ১১ জিম্মির মরদেহ আছে বলে জানান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
হামাস যুদ্ধবিরতিকে গুরুত্ব না দিয়ে হামলা অব্যাহত রাখলে আরও কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তেল আবিব যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহার ও গণহত্যাকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে গাজায় অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ অপসারণে ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের মাধ্যমে দেয়া ওই অর্থায়নের পাশাপাশি যুদ্ধকালীন উপত্যকাটিতে ফেলা প্রায় সাড়ে সাত হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা ও গোলা অপসারণে বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হবে বলেও জানায় দেশটির।
আমার বার্তা/এল/এমই

