
গাজার রাফাতে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা যোদ্ধাদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ আহ্বান জানায় তারা।
গত মাসে হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও রাফার সুড়ঙ্গে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ যোদ্ধা আটকে পড়েন। এরমধ্যে কিছু যোদ্ধা বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এরপরই হামাস এ আহ্বান জানাল।
এরমাধ্যমে প্রথমবারের মতো যোদ্ধাদের আটকে থাকার তথ্য স্বীকার করেছে এ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের যোদ্ধাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমরা ইসরায়েলকে দায়ী করছি। আমাদের সন্তানরা যেন বাড়িতে ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা করতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
যুদ্ধবিরতির পরও রাফার প্রায় পুরো অংশ ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে তারা কথিত হলুদ সীমারেখা তৈরি করেছে। কোনো চিহ্ন না থাকলেও কাল্পনিক এ সীমারেখা পার হলেই ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গুলি বা বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল।
এদিকে মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের এসব যোদ্ধাকে নিরাপদ প্রস্থান দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটির বিরোধীতা করছেন। এ দখলদার দাবি করেছেন, হামাসের যোদ্ধাদের তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা কখনো ইসরায়েলিদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
আমার বার্তা/জেএইচ

