
ঢাকার ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ও রোয়াইল এলাকার পাঁচটি অবৈধ ইটভাটাকে জরিমানার পাশাপাশে এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে মোবাইল কোর্ট। পাঁচটি ইটভাটাকে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা কার্যালয় এবং সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার যৌথ অভিযানে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
৫ অবৈধ ইটভাটাগুলো হলো- মেসার্স রাইসুর অ্যান্ড সামসুদ্দিন ব্রিকস, মেসার্স থ্রিস্টার ব্রিকস, মেসার্স লায়ন ব্রিকস, মেসার্স দাদা ব্রিকস এবং মেসার্স এস এন ব্রিকস অ্যান্ড কোং। প্রতিটি ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ধামরাই উপজেলার কুল্লা ও রোয়াইল এলাকায় অবস্থিত মেসার্স মাহী ব্রিকস এবং মেসার্স এবিসি ব্রিকস নামে দুটি ইটভাটার চিমনি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে রোয়াইল এলাকার মেসার্স ডিএসবি রি-সাইক্লিং প্লান্ট ভেঙে গুড়িয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম। অভিযানে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হোসেন।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইলিয়াস মাহমুদ, পরিদর্শক নয়ন কুমার রায় এবং পরিদর্শক এস এম মনজুর-উল-আলম।
এছাড়া অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের একটি বাহিনী, র্যাবের এক প্লাটুন, ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকস দল এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরাও সাহায্য করেন।
একই দিনে ঢাকার শ্যামলী থানাধীন শিশুমেলা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআরটিএ কর্তৃক যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোট ২০টি ডিজেলচালিত বাস, ট্রাক ও লরির ধোঁয়ার গ্যাসীয় নিঃসরণ স্মোক ওপাসিটি মিটারের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।
এ সময় পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধিমালা অনুযায়ী চারটি মামলায় মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযানে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের কারণে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী দুইটি যানবাহনকে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার এবং প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর গবেষণাগারের সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন চৌধুরী।
আমার বার্তা/এমই

