ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) একই আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। আজ আসামির উপস্থিতিতে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান।
আবেদনে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদানপূর্বক ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যমানের সম্পত্তির তথ্য গোপন করার এবং অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১৩ কোটি ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা মূল্যমানের সম্পত্তি অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭ (১) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। জামিন মঞ্জুর করা হলে আসামি আত্মগোপন করতে পারে এবং তদন্ত কাজকে প্রভাবিত করতে পারে।
এদিকে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে থাকা মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। এদিন দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোঃ ইসমাইল।
আবেদনে বলা হয়, আসামি লায়লা কানিজ লাকি ১৩ কোটি ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন করছেনে মর্মে রেকর্ডপত্রে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭ (১) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি লায়লা কানিজের মূল আয়কর নথির ২০১২-২০১৩ হতে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথির স্থায়ী ও বিবিধ অংশসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।
আমার বার্তা/জেএইচ