
আওয়ামী লীগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা না হলে সমর্থকরা ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ঠেকিয়ে দেবে হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ গড়াতে পারে সহিংসতায়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দমনপীড়নে মুখ্য ভূমিকা রাখেন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই বিপ্লবে ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হন। হাজারো মানুষ আহত হন। পুলিশের গুলিতে বেশির ভাগ মানুষ মারা যান। এটি ছিল স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক সহিংসতা।
আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তিনি এখন দিল্লিতে নির্বাসনে আছেন। তবে জুলাই হত্যার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলটির নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না।
এ বিষয়ে রয়টার্সকে জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন আমরা হতে দেব না। আমাদের বিক্ষোভ আরও তীব্র হবে, যা দরকার তাই করব আমরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু না করলে নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে…সংঘাত হবেই।’
সাক্ষাৎকারে জয় আরও জানান, তিনি এবং তার মা শেখ হাসিনা দেশে আওয়ামী লীগকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বা বিএনপির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই।
এদিকে, আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ৫টি মামলার রায় দেবেন। এ বিষয়ে জয় বলেন, ‘আমরা আগেই জানি রায় কী হবে। তারা এটা টেলিভিশনে দেখাচ্ছে। তারা তাকে দোষী করবে। আর হয়তো মৃত্যুদণ্ড দেবে। কিন্তু আমার মায়ের কিছু হবে না। আমার মা ভারতে নিরাপদে আছেন। ভারত তাকে পুরো নিরাপত্তা দিচ্ছে।’
আমার বার্তা/এল/এমই

