
আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শুনানি হবে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর)। সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যদের সতর্ক অবস্থান ও টহল দেখা গেছে। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও তৎপর দেখা গেছে। এদিন সকাল সোয়া ১০টার পর ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে ১০ সেনা কর্মকর্তাকে।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা এই মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন। আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তারা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আমার বার্তা/জেএইচ

