দেহের স্বাভাবিক রক্তের পরিমাণ যখন কমে যায় তখন তাকে রক্তস্বল্পতা বা রক্তাল্পতা বলে। বিশেষত নারীরা এই সমস্যায় বেশি পড়েন। রক্তাল্পতা দেখা দিলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে হয়। অনেকে এর জন্য ওষুধের ওপর নির্ভর করেন। এছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদান রয়েছে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সক্ষম।
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর এসব উপাদান। চলুন জানা যাক বিস্তারিত-
বেদানা
অ্যানিমিয়ার পথ্য হিসাবে যে উপাদানটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় সেটি হলো বেদানা। এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার রয়েছে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দ্রুত বাড়াতে সক্ষম। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন কিংবা শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম তারা নিয়মিত বেদানা খেতে পারেন।
বেরি
বেরি বা জাম জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এসব ফল রোজ খেলে আয়রনের ঘাটতি কমে। বেরিজাতীয় ফলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেবু
লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা দেহে থাকা আয়রনের ঘাটি পূরণ করে। চনমনে শরীর পেতে ডায়েটে তাই নিয়মিত লেবু রাখতে পারেন। এই ফল হিমোগ্লোবিনের অভাব দূর করতে সহায়ক।
আপেল
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আপেলে। এই ফলটি হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এর কোনও তুলনা হয় না। খাদ্যতালিকায় রোজ একটি আপেল রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
ব্রকোলি
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে ব্রকোলি রাখেন। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি ও ফোলেট রয়েছে। এই উপাদানগুলো হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
বিটরুট
আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ফসফরাসের উৎস বিটরুট। এতে আছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, বি ১২ এবং ভিটামিন সি এর উপকারি সব উপাদান। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে সবজিটি। রান্নার পাশাপাশি কাঁচা সালাদ হিসেবে এটি পারেন। বানাতে পারেন বিটরুটের জুস।
শজনে পাতা
অবহেলিত শজনে পাতায় আছে জিংক, আয়রন, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ভিমামিন এ, বি, সি এর মতো উপাদান। প্রতিদিন সকালে শজনে পাতার গুঁড়া খাওয়ার মাধ্যমে বাড়াতে পারেন হিমোগ্লোবিন। এটি লাল রক্তকণিকার সংখ্যাও বাড়ায়।
এছাড়াও খাদ্যতালিকায় রাখুন ড্রাগন ফল, খেজুর, কিশমিশের মতো খাবার। শরীরের জন্য যেগুলো বেশ উপকারি।
আমার বার্তা/জেএইচ