ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবির শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গোয়েন্দাদের হাতে হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (নভেম্বর ২৩) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানি বরদাস্ত করবে না। নূরুল কবির তার দীর্ঘ কর্মজীবনে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তির প্রধান কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতা সততার শীর্ষ চ্যাম্পিয়ন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিক নূরুল কবির শনিবার (২৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতবার বিদেশে গিয়েছি, প্রতিবারই ঢাকার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করেছে। নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। কখনো গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন, নথিপত্রে সব তথ্য থাকার পরও কেন বিদেশে যাচ্ছি, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হয়েছে, আমার পাসপোর্টের পৃষ্ঠার ছবি তোলা হয়েছে, যা আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। অনেক সময় নথিপত্র নিয়ে ফ্লাইট ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে কখনোই দেশে ফেরার সময়ে এসব ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি। ’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এবার ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া কনফারেন্সের জন্য বিদেশে যাচ্ছিলাম। আমি আশা করেছিলাম যে, ঢাকা বিমানবন্দরে আমার হয়রানির দিনগুলো অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল। এবার বরং দ্বিগুণ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। দেশ ছাড়ার সময় এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা হেনস্তার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশপ্রেমিক হওয়াটাকে সন্দেহের চোখে দেখে।
আমার বার্তা/এমই