
শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ বৃহস্পতিবার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী।
১৯৯০ সালের অগ্নিক্ষরা উত্তাল ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ডা. মিলন স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। ওই দিন বর্তমান বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সভায় যোগ দিতে রিকশায় যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন নতুন গতি পায়। ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল, সংগঠনসহ শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে আছে কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের কবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়ে শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, কবর জিয়ারত, পবিত্র ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, আলোচনা সভা প্রভৃতি।
বাম গণতান্ত্রিক জোট, সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, জাসদসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন এদিন ডা. মিলনের কবর ও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবে। জাসদ গুলিস্তানে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ‘ডা. মিলনের আত্মবলিদান: ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভা করবে।
ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্র সফল হবে না: তারেক রহমান
শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট বিজয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেলেও এখন পর্যন্ত আমাদের দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না। তিনি বলেন, ‘আমি নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নির্ভীক সৈনিক ডা. শামসুল আলম মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
ডা. মিলন অবিস্মরণীয় নাম: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন গুরুত্বপূর্ণ ও অবিস্মরণীয় নাম।
আমার বার্তা/এমই

