ই-পেপার শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২

রাজনৈতিক সংকটে অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়তে পারে

রায়হান আহমেদ তপাদার
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৫

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। বরং তা আরও গভীর ও দীর্ঘ হচ্ছে। অর্থনীতির অনেকগুলো সূচকই আরও দুর্বল হয়েছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-সংকট আরও বেড়েছে। খাদ্য-সংকটের আশঙ্কা বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়েই। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন মূল্যস্ফীতি। এতে জীবনযাপনের খরচ বেড়ে গেছে, কমেছে প্রকৃত আয়। উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সমস্যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট। উৎপাদন কম হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো হিমশিম খাচ্ছে ডলার নিয়ে। সরকারের আয়ও কম। ফলে ভর্তুকির বরাদ্দও বাড়াতে পারছে না। বিশ্ব অর্থনীতি নিয়েও কোনো ভালো কোনো পূর্বাভাস নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগ্রাসীভাবে গত বছরেই ছয়বার নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। তারপরও মূল্যস্ফীতি তেমন কমছে না। বরং এর ফলে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, খারাপ সময় আসা এখনো আরও বাকি। বিশ্বে সামনে প্রবৃদ্ধি আরও কমবে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে। অর্থনীতির সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান গার্ডিয়ান পত্রিকা বলছে, বিভক্ত রাজনীতির এই বিশ্ব এখন ভবিষ্যতের কথা না ভেবে স্বল্পকালীন পরিকল্পনার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এতে মানুষের জীবন আরও খারাপ অবস্থায় চলে যাচ্ছে, দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের মহা হুমকি। তাঁর বিবেচনায় অর্থনীতির সামনের মহা হুমকি হচ্ছে, একই সঙ্গে মন্দা ও মূল্যস্ফীতির উপস্থিতি এবং সরকারি ও বেসরকারি ঋণ পরিশোধের দায়ের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। সাম্প্রতিক অর্থনীতির ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্বল বছর হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে ২০২৩ বর্ষপঞ্জিটি। আগামী দিনের বিশ্লেষকরা হয়তো এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল বা সমস্যাসংকুল বছর হিসেবে বিবেচনা করবেন।

এর একটি বড় কারণ হতে পারে কভিড-উত্তরকালে যে পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়া ছিল তা এ বছর এসে শ্লথ হয়ে এসেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি খাতে প্রবৃদ্ধি হলেও সার্বিক প্রবৃদ্ধি হার আশাব্যঞ্জক ছিল না। প্রবৃদ্ধির ধারা ক্রমান্বয়ে শ্লথ হয়েছে। ২০২৪ সালের জুনে চলতি অর্থবছর শেষ হলে হয়তো অবক্ষয়ের চিত্রটি পুরোপুরি ভাবে ফুটে উঠবে আমাদের সামনে। কভিডের দুই বছর বাদ দিলে প্রবৃদ্ধির হার হয়তো সর্বনিম্ন স্তরে চলে যাবে। এক্ষেত্রে বড় কারণ হিসেবে বলা যায় যে এ সময়ে ব্যক্তি খাত তো বটেই, সরকারি খাতেও বিনিয়োগের পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য। এতে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যদিও এ সময়ে বিদেশে কাজের সন্ধানে গেছে দ্বিগুণের অধিক অনাবাসিক শ্রমিক। যদিও সে তুলনায় রেমিট্যান্সপ্রাপ্তি নগণ্য। অর্থনীতি যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা চিহ্নিত করতে গেলে প্রথমে বলতে হবে, প্রবৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে যাওয়া, ব্যক্তিগত ও সরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়া, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ বাজারে। এতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ পেছনে ফিরে দেখলে দেখা যায়,

বাংলাদেশের আর্থিক খাত অনেক দুর্বল, কর আহরণের ক্ষমতা বিশ্বের সর্বনিম্নদের মধ্যে। এতে সরকারের খরচ করার ক্ষমতা অনেক সীমিত হয়ে গেছে। সরকারের খরচ বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা, অর্থাৎ সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি করার জন্য যে সক্ষমতাটা দরকার তা এ মুহূর্তে সরকারের নেই। ফলে সরকারি বিনিয়োগ কমার কারণ হিসেবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। এর পেছনের কারণ হলো সরকারের হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। এর উল্টো পাশের কথা যদি দেখি, এতদিন ধরে মানুষ জানত, আর্থিক খাতের দুর্বলতার কথা, বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪, ৫ বা ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছিলাম। এবং কম খরচ করে ও কম আদায় করে কম খরচের মাধ্যমে চলছিলাম।

কিন্তু এখন যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে যা আগে ছিল না তা হলো গত বছর বা এর কিছু আগ মুহূর্ত থেকে শুরু করে বৈদেশিক খাতের লেনদেনেও অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ যে হারে রফতানি বেড়েছে তার চেয়ে বেশি হারে আমদানি বেড়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, খাদ্য, সার ইত্যাদি। এছাড়া নানা পুঁজিপণ্য, গার্মেন্টসের নানা কাঁচামাল। এসব আমদানি পণ্যের আর্থিক মূল্য রফতানি মূল্যের চেয়েও বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে যা হয়েছে, এতদিন যে বড় বড় ঋণ নেয়া হয়েছে তা পরিশোধের সময় হয়েছে। অথবা এগুলো ছিল স্বল্পমেয়াদি বা বাণিজ্যিক কিংবা ব্যয়বহুল ঋণ। যেমন কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন হওয়ার আগেই ঋণ পরিশোধের সময় শুরু হয়ে গেছে। আগামী বছর রূপপুর প্রজেক্টের ঋণ পরিশোধে নামতে হলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে। অর্থাৎ কেবল বাণিজ্যিক লেনদেনে ঘাটতি বেড়েছে তা না, বরং আর্থিক খাত থেকে অধিক অর্থ এনে ঋণ শোধ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমেছে। সুতরাং ২০২৩ সাল বৈদেশিক মুদ্রার মজুদহানির বছর হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকবে। নির্বাচন সামনে রেখে সরকার অনেকগুলো অবকাঠামো উদ্বোধন করেছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যয়বহুল। আবার কিছু কাজ শেষের আগেই উদ্বোধন হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অবকাঠামো কৃতিত্বপূর্ণ হলেও দুঃখজনকভাবে সরকার তার ক্রেডিট উপভোগ করতে পারছে না। দুঃখের ব্যাপার হলো সরকারের অবকাঠামো নির্মাণের কৃতিত্ব দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দায়দেনা পরিস্থিতি, টাকার মূল্যপতনে ঢাকা পড়ে গেছে। এখন আরেকটি বিষয় যুক্ত হলো, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পত্রপত্রিকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের যে ধরনের সম্পদ ও অর্থবৈভবের বিস্তারিত বিবরণ এসেছে তা উদ্বেগের। কারো কারো আয় শতগুণ বেড়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রার্থীদের সম্পদের ব্যাপ্তি এখানকার বৈষম্যের চিত্রকে প্রকটভাবে তুলে ধরেছে।

অর্থাৎ ভৌত অবকাঠামোর অর্জনগুলো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনের সঙ্গে খুব বেশি মেলানো যায় না। অবকাঠামোগুলোর অর্থনৈতিক যৌক্তিকতার সঙ্গে রাজনৈতিক বাস্তবতার সামঞ্জস্য ছিল কিনা এ বিচার ভবিষ্যৎ করবে। গত পাঁচ বছরে আমাদের মাথাপিছু পরিশোধযোগ্য দায়দেনা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ৩০০ বা ৩৫০ ডলার থেকে এখন মাথাপিছু দেনা ৬০০ ডলারে চলে গেছে। আগামী দিনের দায়দেনা পরিস্থিতি টেকসই রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। যদি ২০২৩ সালটি দেখি তাহলে বিভিন্ন রকমের সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা গেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে; বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের উত্থান-পতনের চাপ।সামষ্টিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা। এবং বহুদিন ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো না করার ফলে সৃষ্ট সংকট। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক খাতের অনাদায়ী ঋণ, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে সম্পদ আহরণ বাড়াতে না পারা, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা, সরকারি বিনিয়োগে কার্যকারিতা বিচার বা অতিমূল্যায়িত প্রকল্প যেন না হয় সেদিকে দৃষ্টি না দেয়া। এ জায়গাগুলোয় সমস্যা সমাধান না হওয়ায় সংকট বেড়েছে। অবকাঠামগত উন্নয়নে আমরা যে ধরনের ঋণ নিয়েছি তা যথাযথ বিবেচনাপ্রসূত হয়নি। উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে নেয়া সেসব ঋণ পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। সংকটের পেছনে এ ধরনের বড় কারণ দেখা গেছে। রিজার্ভ পতন একটা উদ্বেগের জায়গা হিসেবে ছিল এবং এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য জায়গায়। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমে যাওয়ায় আমাদের এলসি বা ঋণপত্র নিয়ন্ত্রণ করেছি। এলসি নিয়ন্ত্রণের মানে হলো ব্যাংক পর্যাপ্ত মুদ্রা সরবরাহ করতে পারেনি। আর ব্যাংক পর্যাপ্ত মুদ্রা সরবরাহ করতে না পারার কারণে প্রকল্পে বিনিয়োগ হয়নি। যেহেতু বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেনের ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের স্থানীয় মুদ্রা অর্থাৎ টাকার ওপরেও চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে এ সময়ে টাকার মূল্যমানের অবনমন ঘটেছে ২৫-৩০ শতাংশ। এ বৈদেশিক লেনদেনের জায়গায় যে ভারসাম্যহীন অবস্থা গেল যা বিনিয়োগের জায়গায় মুদ্রার ওপর যেমন চাপের সৃষ্টি করল, তেমনি পণ্যমূল্য বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি আরো বেড়েছে। এ বছরের মূল্যস্ফীতির প্রবণতা লক্ষ করে দেখব এটি যে কেবল শহরে বেড়েছে এমন নয়, গ্রামেও বেড়েছে। গ্রামের খাদ্য মূল্যস্ফীতি বরং আরো ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সরকার আগে বড় ধরনের প্রকল্প ঋণ করেছে এবং এবার বাজেট সমর্থনের জন্য বড় ঋণ করেছে। ফলে আমাদের দায়দেনা পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। সরকারের বৈধতার সংকট আছে। এ বৈধতার সংকট সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে, সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে পারবে বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক সমাধান বাদ দিয়ে এ অনিশ্চয়তা কাটবে না। এক্ষেত্রে বাজার সংস্কার বলেন বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বলেন না কেন তা করার ক্ষেত্রে সরকারের আত্মশক্তিতে একটা ঘাটতি থাকবে। ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনের ভেতর দিয়ে সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা থাকলেও রাজনৈতিক বৈধতার জায়গাটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য বিরোধীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া, ভোটদানের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির অভিযোগের কারণে রাজনৈতিক বৈধতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে বাজারে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারছে বলে মনে হয় না। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, পুঁজিবাজারে যারা তছরুপ করছে তাদের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়নি। একইভাবে জ্বালানি খাতে যারা বসে থেকে ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে যাচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। নির্মাণ খাতে ১০ টাকার পণ্য যারা ১০০ টাকায় কিনেছে সেটাও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

এক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের ব্যাপারটা যদি বলতে হয় তাহলে বলা যায়, সরকারের বৈধতার ঘাটতি থাকায় অপশক্তির সঙ্গে তাকে আপস করতে হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক কায়েমি শক্তির কাছে জিম্মি না হোক, অসহায় থেকেছে। এ সরকারের দুর্ভাগ্য যে ১৫ বছরের শাসনামলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষাসহ অবকাঠামোয় অনেক অর্জন থাকলেও নির্বাচনে যাওয়ার সময় তারা জনগণের মনে এসব বিষয় ভালোভাবে স্থাপন করে যেতে পারল না। এটা তাদের জন্য মন খারাপের বিষয় হিসেবে থেকে যেতে পারে। আগামীর দিকে যদি তাকাই তাহলে সামনে নির্বাচন কেন্দ্রিক বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। অনেকেই আশা করছেন, নির্বাচনের পর হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলিষ্ঠ পদক্ষেপ আসবে, বহুদিনের জমে থাকা সংস্কার কর্মসূচি কার্যকর হবে, আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি পরিপালন করব। অবশ্য এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত না। কারণ এগুলো করার জন্য যে ধরনের রাজনৈতিক মোমেন্টাম বা ত্বরণ দরকার পড়ে তার কোনো চিহ্ন আপাতত দেখতে পাচ্ছি না। নির্বাচন হয়ে গেলে তৎপরবর্তী সরকারের মনোভঙ্গি, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সদিচ্ছা ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাপেক্ষে ভবিষ্যতে হয়তো এ নিয়ে কথা বলতে পারব। বর্তমান পরিস্থিতিতে বলতে পারি, একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা ২০২৪-এ প্রবেশ করছি।তাই অর্থনীতিকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসাটাই হবে নতুন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই

বছর শেষে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও নতুন বছরে প্রত্যাশা

বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে গত প্রায় সাত বছর ধরেনানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতিরশিকার হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট সরকার ও ছয় দফা

১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ

শীত প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের পূজারী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এমন দেশে প্রত্যেক ঋতু তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়েই আবির্ভূত হয়।

খ্রিস্টানদের যিশুখ্রীস্ট সম্পর্কে কোরআনের বর্ণনা

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান এবং আল কোরআন সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশেষ আসমানী কিতাব। কোরআনে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন বন্ধে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বিএনপির চিঠি

৭ জানুয়ারি লুটেরা আর ভোট ডাকাতদের নির্বাচন: এবি পার্টি

নির্বাচনি জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি গবেষককে গুলি করে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজতখানা লাইব্রেরীর উদ্বোধন

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হামলা করে নৌকাকে বিতর্কিত করার পরিকল্পনা করছে: গাজী

নতুন বছরের প্রথম দিনে স্কুলে স্কুলে বই উৎসব

নতুন বছরে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ

মঈন খানের সঙ্গে এনডিআই-আইআরআই পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক

রাষ্ট্রীয় মদতে অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতার অভিযোগ বিএনপির

মেরিন সেক্টরে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

দেশের ৫ ভাগের একভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

৬০-৭০ শতাংশ ভোট না দেখাতে পারলে স্যাংশন আসবে

২০২৩ সালে ধর্ষণের শিকার ৫৭৩ নারী

বিএনপি নির্বাচনে আসার জন্য দরকষাকষি করেছে

৭০ তম জন্মদিনে গায়ক রফিকুল আলমের প্রত্যাশা

ইনস্টাগ্রাম পোস্ট শেয়ারে নতুনত্ব

ভোট সুষ্ঠু করতে যত বাহিনী দরকার নামানো হবে

ইউএফএস ও আইসিবির এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু