বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, গুজব লীগ দেখছে, রাজপথে তাদের কিছু করার সামর্থ্য নেই। তাদের জননী নেতাকর্মীদের চুনকালি মাখিয়ে, নিজে মেখে পালিয়েছে। এই দেশের পুরো ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে নেমেছে। রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এ সময় সারজিস আলম আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের অত্যাচার-নির্যাতন এবং বর্বরতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখনো কিছু সুশীল ১৬ বছরকে ভুলে ৩ মাসের পেছনে লেগেছে। ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আন্দোলনের পরিপূর্ণ ফল ঘরে তুলতে সুশীল সমাজকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে দাবি করে সারজিস বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আমাদের প্রায় অর্ধ লক্ষ ভাই-বোন আহত হয়েছে। ওই ২৪ দিনে কীভাবে আমাদের রক্তাক্ত করা হয়েছে, তা শুধু মাত্র স্মৃতিতে থাকলে হবে না। স্মৃতিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আমরা সব সংগ্রহ করছি। আপনাদের কাছে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ আপনাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো লিখুন।
আওয়ামী লীগ নাৎসি বাহিনীর থেকেও বেশি নৃশংস মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যতদিন পর্যন্ত না বিচার নিশ্চিত হয়, ততদিন পর্যন্ত তাদের প্রকাশ্যে আসার কোনও ধরনের অধিকার নেই। আওয়ামী লীগের নৃশংসতা আমরা দেখেছি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে, শাপলা চত্বরে। আলেম সমাজের ওপর আওয়ামী লীগের নৃশংসতা দেখেছি। বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে গত ১৬ বছর গুম, হত্যা নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই