ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক গ্রাফিতি মোছা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। যদিও সেখানে পুনরায় হাসিনাকে ব্যঙ্গ করে আরো একটি গ্রাফিতি আঁকা হয়। তবে আগের গ্রাফিতি কেন মোছা হলো সেটা নিয়ে প্রতিবাদে সরব নেটিজেনদের অনেকে।
সরকার পতনে হাসিনার এই ছবি বিশ্ব গণমাধ্যমে জায়গা নেয়। ক্ষমতাধর শাসকের পরিণতির বড় প্রতীকী চিহ্ন হয়ে আছে এই গ্রাফিতি।
এদিকে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’ (জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র) প্রকাশ করা হবে জানানো হয়েছে। এমন সময়ে হাসিনার গ্রাফিতি মোছার ঘটনা ঘটেছে। এতে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা আগেই নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লেখক ফাহাম আবদুস সালাম।
রোববার সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ফাহাম লিখেছেন, ‘শুনলাম যে ৩১ শে ডিসেম্বর কোনো একটা প্রোক্লেমেশন আসবে। জুলাই স্পিরিটকে রক্ষা করতে হবে। জুলাই আন্দোলনের সবচাইতে সিগনিফিকেন্ট মুরাল যা চোখে দেখা যায় - সেটাই রক্ষা করা গেলো না।’
‘কিন্তু জুলাই স্পিরিট - যা চোখে দেখা যায় না, ব্যাখ্যা করা যায় না। সেটা আমরা রক্ষা করবো। এই হয় আমাদের প্রত্যাশা। মেজাজটা এমনই খারাপ যে কিছু বলতে পারছি না। মি: বীনকে মোনালিসার সামনে ছেড়ে দেয়ার দুঃখ ব্যাখ্যা করা কঠিন।’
ব্যঙ্গাত্মক সুরে ফাহাম আরো লিখেন, ‘লেজেন্ডারি বইংগা ইনকম্পিটেন্সকে যারা বাঘবন্দী করতে পারে না কোনোভাবেই - তাদের দেখে আমার দুঃখ হয়। আবার হাসিও পায়।’
আমার বার্তা/এমই