ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

খাদিজার (রা.) যে ৪ গুণ নারীদের জন্য অনুসরণীয়

আমার বার্তা অনলাইন
০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৩

ইসলামী ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন খাদিজা (রা.)। বুদ্ধিমতী, সম্মানিত, নিবেদিতপ্রাণ, সৎ ও দানশীলা ইমাম যাহাবি তাকে এভাবেই বর্ণনা করেছেন। তিনি জান্নাতের অধিবাসীদের একজন এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রথম স্ত্রী। জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন নবীজির একমাত্র স্ত্রী। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। আল্লাহ তার কাছে ফেরেশতা জিবরাইলের মাধ্যমে বিশেষ সালাম পাঠিয়েছিলেন, আর তাকে বিশেষভাবে জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল।

মহানবী (সা.)-এর স্ত্রী ও উম্মাহাতুল মুমিনীন হজরত খাদিজা (রা.)-কে নিয়ে গর্ব করার যথেষ্ট কারণ আছে। ঘরের কাজ–কর্ম কিংবা সংসার পরিচালনার কৌশল মেয়েরা যেভাবেই শিখুক, শেষ পর্যন্ত আদর্শ হিসেবে তারা মাকেই অনুসরণ করে। নবীজির স্ত্রীরা মুসলিম জাতির জন্য মায়ের মতো। তাই তাদের উম্মাহাতুল মুমিনীন বলা হয়। সেই সেই দৃষ্টিতে মা খাদিজা নারীজীবনের শ্রেষ্ঠ রোল মডেল।

নিচে খাদিজা (রা.)-এর দাম্পত্য জীবনের কয়েকটি গুণ তুলে ধরা হলো, যা আজকের নারীদের জন্যও অনুসরণীয়।

১. চরিত্রবান জীবনসঙ্গী নির্বাচন করেছিলেন

উম্মাহাতুল মুমিনীন খাদিজা (রা.) মক্কার সম্ভ্রান্ত ও বিত্তশালী নারী ছিলেন। তার প্রথম স্বামী মারা যায়। এরপর বিয়ের জন্য একাধিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সবগুলো প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ তার লক্ষ্য শুধু বিয়ে করা ছিল না। বরং তিনি একজন চরিত্রবান ও নীতিবান মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছিলেন। আল্লাহ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার জন্য সেই মানুষ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। স্বামী নির্বাচনে এই বিচক্ষণতা পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্যকে সুখী ও দৃঢ় করেছিল।

ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও পরস্পর সহযোগিতা ও ভালোবাসাপূর্ণ জীবন গড়ার প্রথম শর্ত হলো সঠিক মানুষকে বেছে নেওয়া। কারণ প্রকৃত ভালোবাসা সেই মানুষকেই দেওয়া যায়, যাকে আপনি মন থেকে সম্মান করেন।

২. বিপদের সময় সান্ত্বনা ও অভয় দিয়ে স্বামীর পাশে ছিলেন

হেরা গুহায় জিবরাঈল (আ.) যখন প্রথমবার ওহী নিয়ে আগমন করেছিলেন মহানবী (সা.)-এর কাছে। তখন জিবরাঈলের বিশালাকৃতি দেখে আতঙ্কিত হয়েছিলেন। এই সময় আতঙ্কিত মন নিয়ে নবীজি (সা.) নিজের চাচা বা বন্ধু আবু বকরের কাছে যাননি, বরং গিয়েছিলেন স্ত্রী খাদিজার কাছে।

তিনি খাদিজাকে বিস্তারিত জানিয়ে বললেন, আমি নিজের জন্য আশঙ্কা করছি। খাদিজা (রা.) সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, এমনটা হতে পারে না। আপনি আনন্দিত হোন। আল্লাহ কখনো আপনাকে বিপদে ফেলবেন না। আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন, সত্য কথা বলেন, মানুষের দায়িত্ব বহন করেন, অসহায়দের সাহায্য করেন, অতিথি আপ্যায়ন করেন এবং বিপদাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান। আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন।

নবীজি (সা.) যখন আতঙ্কিত ছিলেন, সেই মুহূর্তে এই বাক্যগুলোর মধ্যে ছিল ভালোবাসা, সান্ত্বনা ও দৃঢ় আশ্বাস। যা একজন মানুষ তার আপনজনের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে।

এই ঘটনা শিক্ষা দেয় একজন স্ত্রী হতে পারে স্বামীর সবচেয়ে বড় মানসিক ভরসা।

৩. প্রজ্ঞাসম্পন্ন পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি

শুধু সান্ত্বনা দিয়েই থেমে যাননি খাদিজা (রা.)। সমাধানের জন্য তিনি ওয়ারাকা ইবন নওফেলের কাছে যাওয়ার পরামর্শ নবীজিকে। ওয়ারাকা ছিলেন জ্ঞানী ও ধর্মশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ। তিনি পুরো ঘটনা শুনে বিশ্লেষণ করলেন এবং ভবিষ্যতবাণীও করে দিলেন।

তাই একজন স্ত্রী হিসেবে জ্ঞানসমৃদ্ধ হওয়া জরুরি। ইসলাম, সমাজ, চলমান বিষয় সব বিষয়ে একজন নারী জ্ঞান থাকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে যেন তিনি স্বামীকে বুদ্ধিদীপ্ত, বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন পরামর্শ দিতে পারবেন খাদিজা (রা.)-এর মতো।

৪. স্বামীর পাশে ছিলেন শক্ত দেয়ালের মতো

নবী মুহাম্মদ (সা.) স্ত্রী খাদিজা (রা.) সম্পর্কে বলেছেন, যখন সবাই অবিশ্বাসী ছিলো, তখন তিনি (খাদিজা) আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। অন্যরা আমাকে সম্পদ দেয়নি, অথচ তিনি তার সব সম্পদ আমাকে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাকে তার মাধ্যমেই সন্তান দান করেছেন, অন্য কারও মাধ্যমে নয়।

ওহী নাজিলের পর থেকেই শুরু হয়েছিল নবীজি (সা.)-এর কষ্টের ধারা। তাকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, তার সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, এমনকি অনাহারে থাকতেও বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু এই কঠিন মুহূর্তগুলো খাদিজা (রা.) কখনো পিছিয়ে যাননি। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত নবীজির শক্ত স্তম্ভ হয়ে পাশে ছিলেন।

স্বামীর প্রতি আস্থা রাখা, গুজবে কান না দেওয়া, কঠিন সময়ে পাশে থাকা এগুলো খাদিজা (রা.)-এর গুণ এবং তার শিক্ষা। তার জীবন নারীদের এই শিক্ষা দেয় যে, পৃথিবী যদি স্বামী বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তবুও স্ত্রীর উচিত তার প্রতি সমর্থন দিয়ে যাওয়া।

আমার বার্তা/জেএইচ

পশু-পাখির প্রতি দয়া করলে আল্লাহ দয়া করেন

আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে সব পশুপাখির প্রতি দয়া করা, খাবার খাওয়ানো, তাদের কষ্ট দূর করা, কোনো

আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ৪ জিকির সম্পর্কে জেনে নিন

আল্লাহর স্মরণ সর্বক্ষণ অন্তরে জাগরুক রাখা, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কাজে আল্লাহর বিধান ও সন্তুষ্টির

জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য মহানবী (সা.) যে দুটি দোয়া শিখিয়েছেন

জ্ঞান ইসলামে শুধু একটি বৌদ্ধিক সম্পদ নয়; জ্ঞান এটি নুর, হেদায়েত, মানবিক উন্নতি এবং আল্লাহর

ভূমিকম্প হলে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবী

ইসলামে সব কিছুর সমাধান রেখেছেন মহান আল্লাহ তাআলা। আর এসব দিক নির্দেশনার জন্য রয়েছে মহাগ্রন্থ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে দুই সেনা কর্মকর্তা

খাদিজার (রা.) যে ৪ গুণ নারীদের জন্য অনুসরণীয়

ট্রাম্পকে নিজেদের দেশের জন্য খারাপ মনে করে জাপান-অস্ট্রেলিয়া ও ভারতীয়রা

বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে সালাউদ্দিন-আশরাফুল

ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তি

আজ বাজারে আসছে নতুন ডিজাইনের ৫০০ টাকার নোট

৪০ বছর পর লেবানন-ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি বৈঠক, বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কা

সাংবাদিক নির্যাতন ও কারাবন্দি আনোয়ারকে দেখতে কুড়িগ্রামে খায়রুল আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন প্রক্রিয়া বৈধ: আপিল বিভাগ

পুতিন দিল্লি পৌঁছানোর আগেই ভারত-রাশিয়ার সামরিক চুক্তি অনুমোদন

আবারও ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকা ও আশপাশের এলাকা, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

৪ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

গজারিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

রাজনৈতিক মত ভিন্ন হলেও দেশে উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আমিনুল হকের দোয়া অনুষ্ঠান

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে

শ্রীলঙ্কায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্তদের ত্রাণ সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ

ইসিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তফসিল দিতে বললেন নাহিদ