ই-পেপার বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবিশ রাসেল কোটিপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৩০
আপডেট  : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:০৬
নকল নবিশ রাসেল

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না তারই প্রমাণ যেন খিলগাঁও সাব-রেজিস্ট্রার অফিস। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। জমির দলিল আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের চাপের মুখে ঘুষ দাবি যেন সাব-রেজিস্ট্রার, উম্মেদার, পিওন ও নকলনবিশদের নিয়মিত আচরণে পরিণত হয়েছে। ঘুষ আদায়ের কৌশল হিসেবে সাবরেজিস্ট্রারের রুটিনমাফিক কাজ নকলনবিশরাও করছেন। এই সুযোগে নকল নবিশরা কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন যার একটি অংশ ভাগে পান সাব-রেজিস্ট্রার।

রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স ভবনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খিলগাঁও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবিশ মো. রাসেলসহ কয়েকজন নকলনবিশ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সাথে যোগসাজশে দলিল রেজিস্ট্রি ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে ভয়-ভীতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। নকল নবিশ রাসেল দলিল রেজিস্ট্রি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের মীমাংসার কথা বলেও অর্থ আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাসেলের দুর্নীতির মধ্যে একটি হয় রেজিস্ট্রিতে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন রকমের কৌশলে টাকা আদায়। রেজিস্ট্রি অনিয়মগুলো হয় মূলত- খাস জমি কে বানান মালিকানা, নাল জমিকে বানান বসত ভিটে, বসত ভিটেকে বানান নাল, সিটি কর্পোরেশনকে বানান পৌরসভা ও ইউনিয়ন, এভাবেই সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দুর্নীতি করে অবৈধভাবে আয় করেন কোটি কোটি টাকা।

সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন দেখিয়ে, সাব-কবলা দলিলের পরিবর্তে হেবা বিল এওয়াজ, অসিয়তনামা, ঘোষণাপত্র, আমমোক্তার নামা দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবিশ মো. রাসেল এর মাসিক আয় সর্ব সকুল্য ৩০ হাজার টাকা। যদিও নকলনবিশ চাকরি সরকারি হওয়ার আগে দৈনিকভিত্তিক ছিল। এই সীমিত আয়কারী রাসেল ঢাকায় আলিশান বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্সসহ নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।জানা যায়, রাসেলের পিতা তেজগাঁও পলিকন টেক ফ্যাক্টরির পিয়ন মো. আলাউদ্দিনের নামে ২০১৯ সালে আফতাব নগর হাউজিং প্রকল্পে প্লট নং ১৮, রোড নং -৪, সেক্টর নং -২, ব্লক -এফ, তিন কাঠা জমি ক্রয় করা হয়। রাসেল তার পিতা মো. আলাউদ্দিনের নামে এই জমি ক্রয়ে করেন। এখানেও থেমে নেই রাসেলের দুর্নীতি, আফতাব নগরের মত জায়গায় ৩ কাঠা জমির মূল্য চার কোটি টাকার বেশি অথচ সেই জমির মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ১৫,৬০,০০০/- টাকা। এভাবেই সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দুর্নীতি করে অবৈধভাবে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। বর্তমানে আফতাব নগরের উক্ত জায়গাতে গড়েছেন ৭ তলা আলিসান বাড়ি।

রাসেলের স্ত্রী মিসেস লাকির নামে গুলশান লিঙ্ক রোড নাভানা টাওয়ারে রয়েছে ফ্ল্যাট। জানা যায়, বর্তমানে এই ফ্ল্যাটে বসবাস করেন রাসেল দম্পতি, নিজের চলাফেরার জন্য রয়েছে একটি প্রাইভেটকার এবং পরিবার চলাফেরা জন্য রয়েছে কালো রঙের একটি মাইক্রো। রাসেলের ক্ষমতার দাপটে খিলগাঁও অফিসের সাব-রেজিস্টার জিম্মি হয়ে তাহার কথামতো কাজ করতে হয়।

এই রাসেল এক সময় তেজগাঁও বস্তিতে বসবাস করতেন। জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সাথে এই বস্তিতেই থাকতেন। এক সময়কার বস্তিবাসীর সাথে বসবাসকারী রাসেল এখন প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক যা অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তব।

রাসেলের পিতা তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ঢাকা পোলিকন টেক ফ্যাক্টরিতে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করে কি করে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন প্রশ্ন থেকে যায়, বাস্তবে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচার জন্য নিজের পিতার নামে রাসেল এই আলিশান বাড়িতে নির্মাণ করেন।

অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও তেজগাঁও অফিসে থাকাকালীন রাসেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। এরপরও ২০২২ সালের রাসেলসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ পূর্ব থেকে খাম খেয়ালি পোনা করে আসছে, শিষ্টজনরা এসব দুর্নীতির প্রশ্রয় হিসেবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছেন।

এ বিষয়ে দুদকের সাবেক এক মহাপরিচালক অভিমত দেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করে দুদক। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুদকে অভিযোগ দিলে দুদক ব্যবস্থা নিতে সক্ষম।

এ বিষয়ে রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সম্পদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাদের নামে দলিল আছে এই সম্পত্তির মালিক তারা, আমি নই।

আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ পাসপোর্ট পরিচালক তৌফিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক তৌফিক ২০১৯ সালে একটি গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ জিজ্ঞসাবাদে সেচ্ছায় দুর্নীতির

ড্রাইভিং লাইসেন্সিং সিস্টেম যেন এক গ্যাঁড়াকল, কৌশল বদলে চলছে আনসিন বাণিজ্য

এ প্রতিবেদনের এক অংশ প্রকাশে সাভারের সেই “আনসিন হোতা” ইন্সপেক্টর আমিনুরকে কৌশলে খোদ সাভারেই রাখা

বিদেশে অর্থপাচারে ফেঁসে যাচ্ছেন আলোচিত ব্যবসায়ী কুতুবউদ্দিন

ছিলেন সামান্য একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। এরপর হয়েছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। গত ১৫ বছরে রকেট

এসএসএফ ডিজিকে কেন ‘টার্গেট’ করা হলো?

রাজধানীর বসুন্ধরার কে ব্লকের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সংস্কারের কথা বলে দেরি করা ষড়যন্ত্র কি না দেখতে হবে: তারেক

আজ চাকরি ছাড়লে কাল ইলেকশন করতে পারবো: সুনামগঞ্জ এসপি

৬৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব

মধ্যস্বত্তভোগীদের মুনাফার লোভে জীবন যাচ্ছে কৃষকের: জিএম কাদের

রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী: ডিবি

গর‌মে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড‌শে‌ডিং হ‌তে পা‌রে: ফাওজুল কবির

বিকেএসপিতে টেনিস টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

তদন্তের মাঝেই সাবিনাদের পাল্টা বয়কটের ঘোষণা বাটলারের

অনির্বাচিত সরকার কখনই জনগণের সরকার না: ডা. তাহের

হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুলের মৃত্যু, ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক সচিব ইনাম আহমদ চৌধুরীর দাফন শুক্রবার

কুমিল্লার দুটি আসন পুনর্বহাল চায় কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত করার সুপারিশ

সেনাপ্রধানের সঙ্গে সেন্ট্রাল আফ্রিকার সেনা কর্মকর্তার সাক্ষাৎ

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা

হাসিনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালালে ভারতকে দায় নিতে হবে: নাহিদ

আমরা কী করলাম সেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে: ড. ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় হতাহত ৬

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের আল্টিমেটাম